সৌদি আরবকে নিয়ে সতর্ক হতে বললেন গার্দিওলা
স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যানচেস্টার সিটির ডাগআউটে অবিস্মরণীয় একটি মৌসুম কাটিয়েছেন পেপ গার্দিওলা। ইংলিশ ক্লাবের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি রেড ডেভিলদের ট্রেবল জিতিয়েছেন। দুর্দান্ত সেই স্মৃতি নিয়ে নতুন মৌসুমে নামছে ম্যানসিটি। তবে গার্দিওলাকে ভাবিয়ে তুলছে সৌদি আরব। না, তাদের সঙ্গে শিষ্যদের মুখোমুখি লড়াই নেই। লড়াইটা মূলত ফুটবলারদের ধরে রাখার, যে হারে লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে দেশটির ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের দলে ভেড়াচ্ছে তাতে চিন্তিত এই স্প্যানিশ কোচ।
গত ডিসেম্বরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে শুরু। বড় কোনো তারকা হিসেবে তিনিই প্রথম সৌদি লিগের দল আল-নাসরে যোগ দেন। এরপর লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপের দিকেও দেশটি হাত বাড়িয়েছিল। তবে তারা সাড়া না দিলেও একে একে অনেকেই যুক্ত হয়েছেন দেশটির বিভিন্ন ক্লাবে।
সম্প্রতি ম্যানসিটির আলজেরীয় উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ যোগ দিয়েছেন আল-আহলিতে। তাকে নিয়েই কথার প্রসঙ্গ শুরু। প্রাক–মৌসুম প্রীতি ম্যাচের আগে এ নিয়ে কথা বলেছেন গার্দিওলা, ‘সৌদি আরব (ফুটবলের) বাজার বদলে দিয়েছে। কয়েক মাস আগে একমাত্র ক্রিশ্চিয়ানোই গিয়েছিল। তখন কেউ ধারণা করেনি, সৌদি লিগে এতগুলো সেরা খেলোয়াড় খেলবে।’
এরপরই ইউরোপীয় দলগুলোর প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন ৫২ বছর বয়সী এই কোচ, ‘ভবিষ্যতে আরও সেরা মানের খেলোয়াড় সেখানে যাবে। এজন্য ক্লাবগুলোর সতর্ক হওয়া দরকার যে কী ঘটতে চলেছে। রিয়াদ অবিশ্বাস্য প্রস্তাব পেয়েছে। এ কারণে আমরা ওকে “যেয়ো না” বলতে পারিনি।’
ক্রমেই সৌদি লিগ শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে মত গার্দিওলার, ‘এখানে হুমকি বড় কথা নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে বাস্তবতা। ওরা (সৌদি আরব) শক্তিশালী একটা লিগ তৈরি করতে চাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে লিগ করেছে, সেটা তারা পারবেও। প্রিমিয়ার লিগ অন্যদের তুলনায় বেশি খরচ করতে পারে। কারণ, এর সম্প্রচার এবং পৃষ্ঠপোষকদের থেকে আয় বেশি। এখন সৌদি লিগ, আমি জানি না, এটা কত দিন টিকে থাকবে। তবে মনে হচ্ছে টিকে থাকবে।’
একের পর এক তারকা ফুটবলারদের নেওয়া সৌদি ক্লাবগুলো খরচের দিক থেকেও প্রথম সারিতে রয়েছে। বর্তমানে দুই নম্বরে অবস্থান করছে দেশটির ক্লাব আল-হিলাল। এর মাধ্যমে তারা পেছনে ফেলে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির মতো জায়ান্ট খরুচে ক্লাবগুলোকে। এবারের দলবদলে ১১ জন খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছে আল-হিলাল। যেখানে রুবেন নেভেস, কালিদু কোলিবালি এবং ম্যালকমের মতো তারকারা আছেন। তাদের পেছনে আল-হিলালের খরচ হয়েছে ১৭ কোটি ৮০ লাখ ইউরো। বিপরীতে ক্লাবটি ৭ খেলোয়াড়কে বিক্রি করে তারা পেয়েছে ১৩ লাখ ৮০ হাজার ইউরো।