চাল ভারতের নিষেধাজ্ঞার সুবিধা নেবে পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চাল রপ্তানির ওপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। অর্থাৎ দেশটি নন-বাসমতি চাল রপ্তানি করবে না। এমন খবরের মধ্যেই চাল রপ্তানি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তান। রাইস এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের (আরইএপি) বরাত দিয়ে দ্য নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান চেলা রাম কেওলানি বলেছেন, গত অর্থ বছরে পাকিস্তান ৩৭ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে। যার মূল্য ছিল ২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তারা এই পরিমাণ চাল রপ্তানি করে।
তিনি বলেন, ভয়াবহ বন্যা, শস্য সংকটসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা ৩৭ লাখ টন চাল রপ্তানি করতে সক্ষম হই।
আরইএপি এর চেয়ারম্যান চলতি অর্থবছরে ৫০ লাখ টন চাল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার ব্যাপারে আশাবাদী। এই রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জুলাইতে।
চাল রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা বিশ্ববাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে এটা পাকিস্তানের জন্য সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত ২০ জুলাই নন-বাসমতি সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। মূলত অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। এর প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ভারতীয় চালের সংকট দেখা দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষ আতঙ্কিত হয়ে চাল কিনছেন। যার প্রভাবে বেড়ে গেছে এ পণ্যের দামও।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ হলো ভারত। বিশ্বের মোট চাহিদার ৪০ ভাগই আসে এ দেশ থেকে। চাল রপ্তানির শীর্ষে থাকা অন্য দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র।
গত বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালে ভারত ২ কোটি ২০ লাখ টন চাল রপ্তানি করে। তার মধ্যে নন-বাসমতী সাদা ও ভাঙা চাল ছিল প্রায় এক কোটি টন। যদিও দেশটির সরকার পরিষ্কার করেছে, আধা সেদ্ধ চাল এ নিষেধাজ্ঞায় পড়বে না। গত বছর ভারত ৭৪ লাখ টন আধা সেদ্ধ চাল রপ্তানি করেছে।