চট্টগ্রাম থেকে আগরতলা ফ্লাইট চলাচল শুরু ১৭ সেপ্টেম্বর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আকাশপথে যুক্ত হতে চলেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা। আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমান পরিষেবা চালু হবে চলতি মাসেই।
এর মাধ্যমে এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম-আগরতলা এবং আগরতলা-চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগরতলা থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে প্রথম সরাসরি ফ্লাইটটি চলাচল শুরু হবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর। আর এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচলের মানচিত্রে যোগ দিতে প্রস্তুত ত্রিপুরা।
নর্থইস্ট টুডে বলছে, বহুদিন ধরে এই সুযোগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ত্রিপুরার জনগণ এখন এক ঘণ্টারও কম সময়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং প্রধান বন্দরনগরী চট্টগ্রামে যেতে পারবেন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ত্রিপুরার ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের প্রচেষ্টার ফল হিসেবে এই ফ্লাইট পরিষেবাটি চালু হতে চলেছে। আর এর মাধ্যমে দুর্গা পূজার প্রাক্কালে ত্রিপুরার বাসিন্দাদের অসাধারণ একটি উপহার দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম ও আগরতলার মধ্যে ফ্লাইট পরিষেবা শুরু হতে পারে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান নিউজ পোর্টাল ইস্টমোজো জানিয়েছিল, আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের মধ্যে ফ্লাইট পরিষেবা পরিচালনার জন্য ভারতীয় বিমান সংস্থা স্পাইসজেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন।
সেসময় মন্ত্রী জানান, নতুন এই ফ্লাইট সার্ভিস চালু হলে আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মর্যাদায় উন্নীত হবে। এছাড়া চট্টগ্রামমুখী এই ফ্লাইটের ভাড়া ৪ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার রুপির মধ্যে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৫ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আগরতলা বিমানবন্দরে বেশ বড় ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে অত্যাধুনিক টার্মিনালও নির্মাণ করা হয়েছে। পিক আওয়ারে এই বিমানবন্দরটিতে একসঙ্গে অবস্থান করতে পারবেন প্রায় ১২০০ যাত্রী।