আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

উদ্বোধন ১ নভেম্বর ডেবিট কার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের জুলাই মাসে ‘ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড’ চালুর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমাতে ও ডলার সাশ্রয়ে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১ নভেম্বর এ কার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এর উদ্বোধন করবেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে ৮টি ব্যাংক নিয়ে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ডের পাইলটিং কার্যক্রম চলবে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। দেশের মধ্যেও এ কার্ড দিয়ে লেনদেন করা যাবে। দেশ থেকে ভারতে গেলে ভ্রমণকারীর ১২ হাজার ডলারের ভ্রমণ কোটার সম পরিমাণ অর্থ তিনি রুপিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। এতে মুদ্রার বিনিময়ে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হবে না। কার্ডে লেনদেনে প্রায় ৬ শতাংশ অপচয় কমবে। এতে ডলারও বাঁচবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, আগামী ১ নভেম্বর ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক কার্ডের জন্য যেসব সেবা দেবে তা হবে সাশ্রয়ী। এ কারণে জাতীয় পর্যায়ে ব্যবহার হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতাও হবে। আপাতত অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এটি চালু হবে, পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি ওই সময় জানান, দেশে ভিসা, মাস্টার বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড আছে। দেশের নিজস্ব কার্ড ছিল না। ইউজার ছিল রেস্ট্রিকটেড। টাকার পরিবর্তে এই কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে বলে মনে করি।

অন্যান্য দেশেও তাদের নিজস্ব কার্ড ব্যবস্থা রয়েছে। ভারত রুপি পে, পাকিস্তান পাক পে, শ্রীলঙ্কা লংকা পে এবং সৌদি আরব মাডা জাতীয় কার্ড স্কিমের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছে। এতে স্থানীয় কার্ড মার্কেটে জাতীয় কার্ড স্কিমের ওপর নির্ভরযোগ্যতা বেড়েছে ওই সব দেশের। আইপিএস’র ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করছে তারা।

গত জলাই পর্যন্ত দেশে ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩ কোটি ২৬ লাখ, ২২ লাখ ৬৮ হাজার এবং ৪৪ লাখ ৯ হাজারে। ডেবিট কার্ডে লেনদেন হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা, ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা এবং প্রিপেইড কার্ডে ২৯৯ কোটি টাকা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.