আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের সাবস্ক্রিপশন শুরু রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনায় পুঁজিবাজারে আসছে ‘ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড’।

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর, রোববার এই ফান্ডের সাবস্ক্রিপশন তথা আবেদন ও টাকা জমা নেওয়া শুরু হবে। আর ১ অক্টোবর, রোববার পর্যন্ত এটি চলবে।

ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড একটি মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড (Close-end Mutual Fund)। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে।
বিনিয়োগকারীদের কাছে এই ফান্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড দেশের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক রোড শো’র আয়োজন করে।

এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবেও একটি রোড শো অনুষ্ঠিত হয়।

এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. মাহফুজুর রহমান, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ কিসমাতুল আহসান, গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ, সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ, গ্রামীণ ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেনসহ দেশের অর্থ ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন এই মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার ২০০ কোটি টাকা। এর প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। ফান্ডটির স্পন্সর হিসেবে রয়েছেন বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। এই ফান্ডের ১০০ কোটি টাকা সাধারণ বিনিয়োগকারীগণের কাছ থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও’র মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। ফান্ডের ট্রাস্টি এবং কাস্টডিয়ান হিসেবে থাকছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বর্তমানে তিনটি বে-মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনা করছে। করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থ ও পুঁজিবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজমান থাকা অবস্থায়ও প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যমান তিনটি ফান্ডের বিনিয়োগকারীগণকে ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে।

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চলতি বছরের দেশসেরা সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টকে ‘স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী পুরস্কার-২০২২’ প্রদান করেছে।
রোড শোতে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান রহমান বলেন, তারা মনে করছেন বর্তমানে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ অনুকূল অবস্থায় রয়েছে। একটি উপযোগী সময়ে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড বাজারে আসছে। এমন সময়ে সঠিকভাবে ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগ করা হলে এখান থেকে ভাল রিটার্ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের রিসার্চ টিমের পরামর্শে দেখেশুনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। এ কারণে বিদ্যমান তিনটি ফান্ডে ধারাবাহিকভাবে ভাল রিটার্ন পাওয়া গেছে। এই ট্র্যাকরেকর্ড বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আমাদের উপর আস্থা রাখতে পারেন। আমরা এই আস্থার সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করে যাব। আগের ফান্ডগুলোর মতো ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডেও আমরা বিনিয়োগকারীদের ভাল লভ্যাংশ দিয়ে যেতে পারবো বলে আশা রাখি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাজারে একটু গতি কম থাকলেও এটি একান্তই সাময়িক। কিছু দিনের মধ্যেই বাজার যথেষ্ট গতিশীল হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুঁজিবাজারের বিকাশে বেশ কিছু সংস্কার করেছে, উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী দিনে পর্যায়ক্রমে সেগুলোর সুফল পাওয়া যাবে। তিনি বিএসইসিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এই বাজারের উন্নয়নে নিরন্তর চেষ্টা চালানোর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ কিসমাতুল আহসান বলেন,হাসান রহমান একজন সফল চেয়ারম্যান। ২০০ কোটি টাকার একটা ফান্ড ম্যানেজ করা খুব সাহসী একটি পদক্ষেপ। হাসান সাহেবের সাথে পরিচয় হবার পর থেকে আমি ক্যাপিটেক কে জানা শুরু করলাম। আর এবার দেখলাম দেশ সেরা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের এওয়ার্ড পেয়েছে। উনারা খুব ভালো কাজ করেছেন। অল্প সময়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছেন।

তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব আছে আমাদের বিনিয়োগকারীদের৷ বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ডের সাথে খুব অদ্ভুত আচরণ করছেন। খারাপ কোম্পানির শেয়ারের দাম যেভাবে উঠানামা করে সে তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ড অবহেলিত। অথচ ফান্ডগুলো ডাবল জিডিট রিটার্ন দিচ্ছে। তবুও ফেইস ভ্যালুর থেকে কম দামে নেমে যায় মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটগুলোর দাম। অথচ একটা দেশের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য এটাই সবথেকে বড় বিনিয়োগের প্লাটফর্ম। আমরা মিউচুয়াল ফান্ডের জগৎটাকে আলোকিত করতে পারিনি। এর পুরো ব্যর্থতা বিনিয়োগকারীদের।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.