‘পুঁজিবাজারের কম ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে ভালো মুনাফা আসে’
নিজস্ব প্রতিবেদক : সব ধরনের ব্যবসায় ঝুঁকি রয়েছে। কে কতটুকু ঝুঁকি নেবে এটি তার নিজস্ব বিষয়। তবে পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে কম ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক একাডেমিক শিক্ষাসচেতনতামূলক ধারাবাহিক কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এরই অংশ হিসেবে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য এ সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করে এক্সচেঞ্জটি। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. রুমানা ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক একাডেমিক শিক্ষাসচেতনতামূলক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল আমিন রহমান।৷ মূল প্রবন্ধে তিনি পুঁজিবাজার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। পুঁজিবাজারবিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডিএসইর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
সঞ্চয়ের কিছু অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে উল্লেখ করে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. রুমানা ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখনই আপনাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সময়। তাই আগে সঞ্চয় করতে হবে, পরে খরচ করতে হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কী কী ঝুঁকি নেবেন এবং কী পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন সে সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা আজকের অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। একজন সচেতন বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের সম্পদ। তিনি শুধু নিজের নন, তার দ্বারা সমগ্র বাজার উপকৃত হয়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, ‘আইনি কাঠামো হলো পুঁজিবাজারের মেরুদণ্ড। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা প্রদান হলো আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব। যেকোনো ধরনের কারসাজি দূর করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান আছে৷। আপনারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার পাশাপাশি পুঁজিবাজারের আইনি কাঠামো ঠিক রাখার ক্ষেত্রে আইন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা অবদান রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাদের গবেষণা ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমি আশা করি, আগামীতে ডিএসই ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ এ বিষয়ে গবেষণামূলক কাজ করবে।’