আজ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

যে কারনে মুনাফা কমলো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিদায়ী অর্থবছরে দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মুনাফা কমে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় বা মুনাফা (ইপিএস) ৭ পয়সা কমে গেছে।

সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় সোমবার ৩০ জুনে সমাপ্ত বছরের জন্য সিএসইর আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। সেখান থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সিএসইর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূলত দুই কারণে সংস্থাটির আয় কমেছে। প্রথমত, লেনদেন কমে যাওয়ায় এবং দ্বিতীয়ত তালিকাভুক্তির ফি বা মাশুল কমে যাওয়া। গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছর শেষে সিএসইর ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ পয়সায়। আগের বছরে যার পরিমাণ ছিল ৬১ পয়সা।

এর আগে গত বছরের ২৮ জুলাই শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারের পতন ঠেকাতে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তরা বা ফ্লোর প্রাইজ বেঁধে দেয়।

এর ফলে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইজে আটকে যায়। এই কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারের খুব বেশি লেনদেন হচ্ছে না বাজারে। এ কারণে লেনদেনেও ধস নেমেছে, যার প্রভাব পড়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের আয়ে।

সাধারণত স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়মিত আয়ের বড় দুটি উৎস লেনদেন ফি বা লেনদেন থেকে আদায় করা মাশুল। আর আয়ের আরেকটি বড় উৎস তালিকাভুক্তির ফি। নতুন কোম্পানি যখন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, তখন নির্দিষ্ট পরিমাণে মাশুল পায় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ব্যাংকে জমা রাখার অর্থের বিপরীতে মোটা অঙ্কের সুদ পেয়ে থাকে স্টক এক্সচেঞ্জ।

তবে মুনাফা কমলেও স্টক এক্সচেঞ্জটির শেয়ারধারীদের ডিভিডেন্ডে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের বছরের মতো এবারও ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.