‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামতে পারে ১৪ কোম্পানির শেয়ার!
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০২০ সালে এক আদেশে বলেছিল, কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এজিএম অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হলে বা পরপর দুই বছর নেট ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হলে বা পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনকে অতিক্রম করলে বা বিএমআরই ছাড়া কোনো কোম্পানির ব্যবসায়িক বা উৎপাদন কার্যক্রম টানা ছয় মাস বন্ধ থাকলে ওই কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ক্যাটেগরিতে লেনদেন হবে।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বলছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমন ৪২টি কোম্পানি রয়েছে যেগুলো পরপর দুই বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এজিএম অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে বা পরপর দুই বছর নেট ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়েছে বা পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনকে অতিক্রম করেছে।
এই ৪২টি কোম্পানির মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৪টি কোম্পানির কার্যক্রম সরেজমিনের পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। কোম্পানিগুলো হলো-সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, দুলামিয়া কটন, ফ্যামিলিটেক্স, ফরচুন সুজ, খান ব্রাদার্স, ন্যাশনাল ফিড, কেয়া কসমেটিকস, নর্দান জুট, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ঢাকা ডায়িং, উসমানিয়া গ্লাস, জাহিন স্পিনিং ও জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিএসইর পরিদর্শন টিম ইতোমধে ৫টি কোম্পানি পরিদর্শন করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিগুলোর অবস্থা জানিয়েছে। যেগুলো হলো- নর্দার্ন জুট, রিজেন্ট টেক্সটাইল, উসমানিয়া গ্লাস, দুলামিয়া কটন ও ফ্যামিলি টেক্সটাইল।
ডিএসই বলেছে, কোম্পানি পাঁচটির সবগুলোরই উৎপাদন বন্ধ। উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে কোনো কোনো কারখানায় ডিএসইর পরিদর্শন টিমের সদস্যরা ঢুকতেই পারেননি। আবার কোনো কোনো কোম্পানির অফিসও বন্ধ পাওয়া গেছে। নর্দার্ন জুটের অফিস অন্য একটি কোম্পানিকে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটি অফিসও গুটিয়ে নিয়েছে।
অবশিষ্ট ৯টি কোম্পানির পরিদর্শন কার্যক্রম ডিএসই খুব শিগগির শেষ করবে বলে জানা গেছে। ডিএসইর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ি এই ৯টি কোম্পানির মধ্যে ২-১টি কোম্পানি বাদে বাকি কোম্পানিগুলোর উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু কোম্পানিগুলোর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এবং বিএসইসির নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে, সেহেতু কোম্পানিগুলোর শেয়ার নিয়ম মোতাবেক ‘জেড’ ক্যাটাগরির দিকেই হয়তো এগুচ্ছে। তবে বিএসইসি ও ডিএসই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় কোম্পানিগুলোর ক্যাটাগরি পরিবর্তন নাও করতে পারে।