বিক্রি বাড়লেও যে কারণে ইপিএস অর্ধেকে নেমেছে মতিন স্পিনিংয়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বশেষ অর্থবছরে (২০২২-২৩) মিশ্র ফলাফল করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসি। এ সময়ে কোম্পানিটির মোট পণ্য বিক্রি বেড়েছে। নানা কারণে এর প্রতিফলন নেই কোম্পানিটির নিট মুনাফায়। বরং এ সময়ে নিট মুনাফা ও শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের চেয়ে কমেছে।
কোম্পানি প্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মতিন স্পিনিংয়ের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করে কোম্পানিটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের কোম্পানিটি ৭৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। আগের বছর বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির পণ্য বিক্রি বা রাজস্ব বেড়েছে ১৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত বছরের ১ আগস্ট চালু হওয়া কোম্পানির স্পেশাল ইয়ার্ন বা বিশেষ সুতা উৎপাদন ইউনিটের মোট বিক্রি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। আলোচিত ইউনিটের দৈনিক সূতা উৎপাদনক্ষমতা ১ মেট্রিক টন।
কিন্তু রাজস্ব আয়ে বড় উল্লম্ফন হলেও নিট মুনাফায় ছিল বিপরীত ধারা। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি ৭১ লাখ টাকা, যা আগের বছর ১০৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা ছিল। আগের বছরের তুলনায় গত বছর মতিন স্পিনিংয়ের নিট মুনাফা কমেছে ৬২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৫৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
নিট মুনাফা হ্রাস পাওয়ায় শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএসও কমেছে কোম্পানিটির। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১০ টাকা ৭৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, পণ্য বিক্রি বাড়লেও বেশ কিছু কারণে নিট মুনাফা কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, অর্থায়ন ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে আলোচিত বছরে পণ্য বিক্রির ব্যয় ছিল আগের বছরের চেয়ে ২২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে বাজারে সূতার দাম কমে যাওয়ায় আগের বছরের চেয়ে ১২ দশমিক ০৯ শতাংশ কম দামে সূতা বিক্রি করতে হয়েছে।