আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

সামিট পাওয়ারসহ জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর জন্য সুখবর!

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে যে বিল জমা দেয় এবং সংস্থাটি যেদিন বিল পরিশোধ করে সেদিনের ডলারের দামে একটা পার্থক্য থেকে যায়। এজন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে লোকসান গুনতে হয়। এ লোকসানের জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন বিদ্যুৎ উৎপাদকেরা। তবে এ অর্থ আসতে আরো বেশকিছু সময় লাগবে। এ কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছ থেকে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছে বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সামিট পাওয়ার জানিয়েছে, ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের পাশাপাশি বিপিডিবি কর্তৃক বিদ্যুতের মাসিক বিল দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেড (এসওএসসিএল) তীব্র অর্থ সংকটে ভুগছে। এসওএসসিএল সামিট পাওয়ারের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য হেভি ফার্নেস অয়েল (এইচএফও) আমদানি ও সরবরাহ করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে এসওএসসিএলকে অতিরিক্ত তহবিল সহায়তা প্রদানের অনুমোদন নিয়েছিল। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারজনিত বাড়তি ব্যয়ের বিষয়টি বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সঙ্গে মিলে এরই মধ্যে বিপিডিবি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে সামিট পাওয়ার। বিল জমা দেয়ার তারিখ ও বিল পরিশোধের তারিখের মধ্যে বিনিময় হারে ওঠানামার কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর যে লোকসান হয় সেটির ক্ষতিপূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছে তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সামিট পাওয়ার বিপিডিবির কাছে সম্পূরক বিল জমা দিয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে বাকি আছে এবং আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়ার কারণে এটি খুব দ্রুত অনুমোদন হবে বলে মনে করছে না কোম্পানিটি। এ পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির পক্ষে বার্ষিক আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করা কঠিন। ফলে বিপিডিবির কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার আগে আন্তর্জাতিক হিসাবমান অনুসরণ করে স্বচ্ছ ও প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা সম্ভব হবে না। এ কারণে চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রস্তুত করা সম্ভব হবে না। এজন্য সামিট বিএসইসির কাছে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল। কোম্পানিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে বিএসইসি। এ সময়ের মধ্যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে কোম্পানিটি।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ২ টাকা ৮৫ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৮৩ পয়সা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৪ টাকা ৩ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৬৮ পয়সায়, ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষে যা ছিল ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.