আজ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিলেন আন্ডারওয়াটার এক্সপ্রেসওয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

টানেলটি ২৯ অক্টোবর থেকে যানবাহনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এদিন তিনি আনোয়ারা নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং প্রথম নদীর তলদেশে সড়ক টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহরও অবমুক্ত করবেন।

টানেল উদ্বোধনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা এ উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করছে। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়েছেন সেখানে।

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বন্দর নগরীর কোটি বাসিন্দার স্বপ্ন সত্যি হলো এই টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম টানেল বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, টানেলটি চট্টগ্রাম নগরীকে চীনের সাংহাই নগরীর মতো ‘দুটি শহরকে একটি নগরীতে’ পরিণত করবে এবং এটি দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করবে। শিল্পায়নের অপার সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে এবং নগরীর পরিধিকে প্রসারিত করার মাধ্যমে সমগ্র অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন ঘটাবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক চীনের এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে। টানেলের পুরো রুটের দৈর্ঘ্য হলো ৯.৩৯ কিলোমিটার (৫.৮৩ মাইল), সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) ও এর ব্যাস ১০.৮০ মিটার (৩৫.৪ ফুট)। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের নেটওয়ার্ক উন্নততর হবে। চীনের কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা টানেলটির বোরিং ফেজও উদ্বোধন করেন।

টানেলটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক পথের দূরত্ব কমিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বন্দরনগরীতে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য অংশে যেতে সুবিধা করে দেবে। এটি চট্টগ্রাম বন্দর ও আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কর্ণফুলী নদীর ওপর দুটি সেতুর যানজটও কমে আসবে।

এর আগে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিন ১৭ হাজার ২৬০টি যানবাহন টানেলটি ব্যবহার করতে পারবে, যা বছরে প্রায় ৭.৬ মিলিয়ন যানবাহনের সমান। টানেলটি দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.১৬৬ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.