আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

ইউনিলিভারের উদ্যোগে শুরু হলো ‘ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ’

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) যৌথভাবে ‘ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ’ প্রোগ্রাম চালু করেছে। এ উদ্যোগে কোম্পানিটির সঙ্গে রয়েছে- যুক্তরাজ্য সরকার এবং আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং-ইওয়াই, দ্য সাজিদা ফাউন্ডেশন, দ্য ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট। অভিনব ব্যবসায়িক ধারণার মাধ্যমে বাংলাদেশকে জলবায়ু সহনশীল করা ও প্লাস্টিক সার্কুলারিটি বাড়ানোই এ ‘ইম্প্যাক্ট এক্সিলারেটর’ এর লক্ষ্য।

ইউনিলিভার, যুক্তরাজ্য সরকার এবং ইওয়াই এর TRANSFORM ‘ট্রান্সফর্ম’ কর্মসূচিতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যেটি কি না ইতোমধ্যে ১ কোটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে; তারমধ্যে ৩০ লাখ বাংলাদেশিও অন্তর্ভুক্ত।

সাজিদা ফাউন্ডেশন এবং দ্য ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট যৌথভাবে ‘ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ’ বাস্তবায়নে যুক্ত হয়েছে; এই যৌথ অংশীদারত্বের লক্ষ্য কৃষি, পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে সামাজিক উদ্ভাবকদের সহযোগিতা করা এবং একসঙ্গে প্লাস্টিক সার্কুলারিটি বাস্তবায়নে কাজ করা।

বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত ‘ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ইউবিএল-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার এবং ইউবিএল- এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উদ্যোগের সহযোগীদের প্রতিনিধিরা।

‘ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ’-এর আওতায়, উদ্ভাবনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ মূলধন, ব্যবসায়িক মনিটরিং ও করপোরেট ভ্যালু চেইনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য সাড়ে ৫ কোটি টাকার বেশি অর্থ পাবে। এ ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর প্রোগ্রামটি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ এবং প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করে এমন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শনাক্ত ও বাছাই করবে এবং তাদের কাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

উদ্যোক্তারা ১ নভেম্বর থেকে আবেদন করতে পারবেন এবং সফল আবেদনকারীদের ‘ট্রান্সফর্ম’ এর মাধ্যমে ইউনিলিভার এবং ইওয়াই থেকে অন্যান্য অনুদানপ্রাপ্তদের সঙ্গে তাদের প্রকল্প, শেখার, বিনিময় এবং নেটওয়ার্কিং সুযোগগুলো পরীক্ষা এবং সম্প্রসারণের জন্য এন্টারপ্রাইজ প্রতি ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে।

এই প্রোগ্রামটি ইওয়াই- এর গবেষণা থেকে তথ্য ব্যবহার করে ভারত ও বাংলাদেশে প্লাস্টিককে কীভাবে পুনর্ব্যবহার করা হয় সে বিষয়ে ধারণা নিবে। নতুন প্রতিবেদনে প্লাস্টিক বর্জ্য উত্পাদন বৃদ্ধির প্রভাব, অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো, রিসাইক্লিংয়ের ক্ষেত্রে সীমিত সুযোগ-সুবিধা এবং সমস্যা সম্পর্কে অপর্যাপ্ত জনসচেতনতার বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, প্লাস্টিককে সঠিক উপায়ে ব্যবহারের জন্য আমাদের উদ্ভাবনী সমাধানের প্রয়োজন এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য আর্থিকভাবে কার্যকর ব্যবসায়িক মডেলগুলোর রিসোর্সিংয়ের ঘাটতি রয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘অংশীদারত্ব ও উদ্ভাবন ট্রান্সফর্ম মডেলের প্রধানতম দুইটি বিষয়। যেসব উদ্যোক্তরা তাদের কমিউনিটি সম্পর্কে জানে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করে এই মডেল তাদের ক্ষমতায়িত করে। যুক্তরাজ্য সরকারের গ্র্যান্ট ফান্ডিং, ইউনিলিভার এবং ইওয়াই এর অভিজ্ঞতা এবং নেটওয়ার্ক সামাজিক উদ্যোগগুলোকে সহযোগিতার মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার মাধ্যমে প্রধান পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে।’

ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, জটিল প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য উদ্ভাবনী স্টার্টআপ এবং নতুন নতুন ব্যবসা থেকে নির্বিঘ্ন সমাধান প্রয়োজন। অভিনব ভাবনার উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করাই সার্কুলারিটি বাড়ানোর চাবিকাঠি। যদিও আমাদের উদ্যোগ প্লাস্টিককে পুনর্ব্যবহারযোগ্য অর্থ্যাৎ রিসাইক্লিং লুপে রাখার পদ্ধতিগত পরিবর্তনকে প্রচার করে, আমরা স্বীকার করি যে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। যুক্তরাজ্য সরকার, ইউনিলিভার ও ইওয়াই-এর মধ্যকার এই অংশীদারত্ব একটি সহযোগিতামূলক মনোভাবকে প্রতিফলিত করে, যা ‘ট্রান্সফর্ম’- এর উদ্ভাবন এবং এটিকে সম্প্রসারণের দিকে পরিচালিত করে।’

‘সাজিদা ফাউন্ডেশন এবং ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট- এর সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত ‘ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ’ প্রোগ্রামটির মাধ্যমে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু অনুদান নয়, গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও নির্দেশনাও পাবে। দেশের টেকসই ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্যে আমি এই টিমকে অভিনন্দন জানাই। ‘ট্রান্সফর্ম’- এর উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই বিশ্বজুড়ে এবং ইউনিলিভার সাপ্লাইচেইনের মধ্যকার সমস্যাগুলোর নতুন, সমাধানযোগ্য উপায় খুঁজে বের করেছে। আমরা ‘ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট চ্যালেঞ্জ’- এর মাধ্যমে মডেলটিকে সম্প্রসারিত করতে পেরে গর্বিত এবং যারা শুরু থেকেই পরিবর্তন আনতে সক্ষম এমন আরও বাংলাদেশি উদ্ভাবকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আমরা আরও কিছু শোনার অপেক্ষায় আছি।’

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.