আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ভ্যালু কমেছে ৩৪.৭২ শতাংশ : বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সময়ের পরিক্রমায় ন্যূনতম মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেলেও শিল্পের সক্ষমতা সে অর্থে খুব বেশি বাড়েনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, চলতি ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ভ্যাল্যু কমেছে ২২.৮১ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি কমেছে প্রায় ২৩.৩৩ শতাংশ। একই সময়ে সারা পৃথিবী থেকে আমদানি কমেছে ২৫.১৬ শতাংশ, আর বাংলাদেশ থেকে কমেছে ২৯.৩৭ শতাংশ। শুধু আগস্টেই বাংলাদেশ থেকে ভ্যালু কমেছে ৩৩.৭১ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪.৭২ শতাংশ।

রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

ফারুক হাসান বলেন, চলতি ২০২৩ সালের প্রথম ৮ মাসে ইউরোপের বৈশ্বিক আমদানি কমেছে ৯.৬১ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে ১৩.৭১ শতাংশ। শুধু আগস্ট মাসেই কমেছে ২৬.০৬ শতাংশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি অক্টোবর ২০২২ এর তুলনায় ১৩.৬৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পোশাক রপ্তানির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রকৃত রপ্তানি পারফরমেন্স ২৮.৩৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অন্যতম প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের দরপতন শুরু হয়েছে, যেটা শিল্পের জন্য নতুন শঙ্কা তৈরি করছে। সার্বিকভাবে বিশ্ববাজার থেকে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পোশাকের দর ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে। একই মাসে (আগস্ট ২০২৩) বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যের দর কমেছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক কারণের জের ধরে পোশাক শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বহু গুণ বেড়েছে। বিগত ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গ্যাসের মূল্য বেড়েছে ২৮৬.৫ শতাংশ এবং বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ২১.৪৭ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে পোশাক শিল্পে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাংক সুদের হার বাড়ানো হয়েছে, এর ফলে আমাদের ক্রেতাদেরও কস্ট অব ফান্ড বেড়ে গেছে, যার চাপ বহন করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছরই নিয়মিতভাবে ন্যূনতম ৫ শতাংশ হারে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কেন্দ্রীয় তহবিল কার্যকর করা হচ্ছে, যা শ্রমিকদের নানামুখী কল্যাণে ব্যয় করা হয়। এই তহবিলের অর্থ শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় হচ্ছে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.