এশিয়ার কাইন্ডনেস তালিকায় বাংলাদেশের মাহজাবীন
নিজের প্রতিবেদক: বিশ্ব সহানুভূতি দিবস উপলক্ষে এশিয়া প্যাসিফিক কাইন্ডনেস অ্যান্ড লিডারশিপ এর শীর্ষ ৫০ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট – ব্যানক্যাট এর মহাসচিব মাহজাবীন ফেরদৌস (https://www.kindnessrules.co.uk/our-candidate/2023/) এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আরও দুইজন এই তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন, ‘টিম ব্যর্থ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মুর্শিদুল আলম ভূঁইয়া এবং দ্য লেপরোসি মিশন ইন্টারনেশনাল বাংলাদেশ এর সিনিয়র রিসার্চ টেকনিক্যাল লিড, ডাঃ রিশাদ চৌধুরী রবিন।
মাহজাবীন ফেরদৌস ক্যারিয়ারের একটি দীর্ঘ সময় কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করে, পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। যেখানে তিনি বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট (ব্যানক্যাট), ভ্যালর অব বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছেন। ব্যানক্যাটের সাথে কাজ করে গড়ে তুলেছেন ‘আলোক নিবাস’ যা বাংলাদেশের প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ সেবাদানকারী ক্যান্সার কেয়ার হোম যেখানে সুবিধাবঞ্চিত ক্যান্সার রোগীদের বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, সেবার ব্যবস্থাসহ চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাবতীয় সহায়তা করা হয়ে থাকে। তাঁর আরেকটি অন্যতম উদ্যোগ হলো ‘উচ্ছ্বাস স্কুল’ যা প্রান্তিক শিশুদের লেখাপড়ার জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।
“সহানুভূতিশীল নেতৃত্ব সহকর্মীদের মধ্যে বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির একটা ভিত্তি তৈরী করে যা কর্মক্ষেত্রে সফলতা আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমি কাজের ক্ষেত্রে সকলের সুবিধা অসুবিধা ভেবেই কাজ করে থাকি।” জানান মাহজাবীন ফেরদৌস।
“মাহজাবীন যখন ব্যানক্যাটের পক্ষ থেকে সম্মান ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করার উদ্যোগ নেয়, তখন আমি দেখেছি সে নিজের কাজের ক্ষেত্রে ঠিক কতটা নিবেদিত। কাজের ক্ষেত্রে তার সহানুভূতিশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়।”, মাহজাবীন ফেরদৌস সম্পর্কে বলেন প্রফেসর ডাঃ রুবাইয়ুল মোর্শেদ।
ডঃ রুবানা হক বলেন, “দীর্ঘদিন মাহজাবীনের সাথে কাজ করে আমি দেখেছি সে সহানুভূতিশীলতাকে হাতিয়ার করে প্রতিনিয়ত একদল মানুষকে নিয়ে মেয়েদের উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।”
এশিয়া প্যাসিফিক এর সম্পূর্ণ তালিকা এই লিংকেঃ
https://www.kindnessrules.co.uk/asiapacific/
কাইন্ডনেস অ্যান্ড লিডারশিপ, ৫০ লিডিং লাইটস ক্যাম্পেইন এমন নেতাদের উপর আলোকপাত করতে চায় যারা সহানুভূতিশীলতার মাধ্যমে অন্যদের প্রভাবিত করছে। এই ক্যাম্পেইনটি একটি নতুন স্থান তৈরি করার, নেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ এবং দক্ষতা শেয়ার করার এবং ব্যবসা, অর্থনীতি এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে কাজ করা নেতাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি অনন্য সুযোগ। এটি এশিয়া স্কয়ার টাওয়ার ১, ফিনান্সিয়াল টাইমস, কেপিএমজি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেড বিজনেস স্কুলের সহযোগিতায় করা হয়েছে।