ফাইন্যান্স কোম্পানিতে বিদেশি পরিচালকদের সংখ্যা নির্ধারণে নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) পর্ষদে কতজন বিদেশী পরিচালক থাকতে পারবেন সে বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে বিদেশীদের ধারণ করা শেয়ারের আনুপাতিক হারে পরিচালকের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
গত কাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের (ডিএফআইএম) পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ডিএফআইএমের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত সার্কুলারটি দেশের সব এনবিএফআইয়ের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩-এর ১৫(১) ধারার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে, আইনের এই ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে কোনো এনবিএফআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে বিদেশী শেয়ারধারীদের সর্বোচ্চ সংখ্যা অর্থাৎ পরিচালকের সংখ্যা ওই কোম্পানিতে তাদের ধারণ করা শেয়ারের অনুপাতে নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এই বিষয়ে বলেন, আইনে একই পরিবারের স্থানীয় শেয়ারধারী পরিচালকদের সংখ্যার বিষয়ে বলা আছে। বিদেশী শেয়ারধারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার ধারণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিদেশী পরিচালক কতজন পর্ষদে থাকতে পারবেন সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে বলে আইনে উল্লেখ করা আছে। এর ধারাবাহিকতায় আমরা বিদেশীদের শেয়ার ধারণের আনুপাতিক হারে পরিচালকের সংখ্যা নির্ধারণ করার বিষয়ে একটি নীতিগত নির্দেশনা দিয়েছি।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন ২০২৩-এর ১৫(১) ধারায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো পরিবারের সদস্য সমষ্টিগতভাবে কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানির ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করলে একই পরিবারের মধ্য থেকে দুজন পরিচালক থাকতে পারবেন। আর ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার ধারণ করছেন সেক্ষেত্রে একই পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন পরিচালক থাকতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বিদেশীদের শেয়ার ধারণের বিপরীতে পরিচালকের সংখ্যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দেবে বলে আইনে বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান মো. গোলাম সারওয়ার ভূঁইয়া বলেন, ‘শেয়ার ধারণের আনুপাতিক হারে বিদেশী পরিচালকের সংখ্যা নির্ধারণের বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। বিদেশীরা শুধু প্রতিষ্ঠানে অর্থই বিনিয়োগ করেন না; একই সঙ্গে তারা তাদের প্রযুক্তি, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখেন।’