আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

গ্রাহক সুরক্ষায় বিমা কোম্পানির কঠোর নীতিমালা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা গ্রাহকদের যেকোনো অভিযোগ সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে। একই সঙ্গে বিমা কোম্পানি তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া এবং এ–সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম গ্রাহকসহ জনসাধারণের অবগতির জন্য বুকলেট বা গ্রহণযোগ্য মাধ্যমে প্রচার করবে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটে বিশেষভাবে প্রদর্শন নিশ্চিত করবে।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) জারি করা বিমা গ্রাহক সুরক্ষা গাইডলাইন বা নীতিমালায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার এই নীতিমালা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এতে গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে গ্রাহক ও বিমা কোম্পানির দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিমা পরিকল্প বা পলিসি আইডিআরএ অনুমোদিত হতে হবে। গ্রাহকের কাছে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনুমোদিত পলিসিতে কোনো ব্যত্যয় করা যাবে না। বিমা পলিসির দলিলে বিমাকারীর নাম, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নম্বর, যোগাযোগের প্রকৃত ঠিকানা, পলিসির নাম, শ্রেণি ও প্রকার ইত্যাদির বর্ণনা এবং কর্তৃপক্ষের নাম ও ঠিকানা থাকতে হবে।

গ্রাহককে এমন কোনো ধারণা বা আশ্বাস দেওয়া যাবে না যা বিমা পলিসিতে নেই। গ্রাহকের লিখিত সম্মতি ছাড়া বিমা চুক্তিতে কোনো প্রকার পরিবর্তন করা যাবে না। পলিসি মেয়াদপূর্তি বা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ বা জরিমানা অথবা কোনো বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি থাকলে তা বিমা গ্রাহককে পলিসি বিক্রির আগেই অবহিত করতে হবে।

নতুন নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিমা পলিসি বিক্রির রসিদ ১৫ দিনের মধ্যে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিমাকারীকে ইস্যু ও সংরক্ষণ করতে হবে এবং সেই রসিদ গ্রাহককে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যমে পাঠাতে হবে। বিমাকারী বা এজেন্ট গ্রাহকদের সব তথ্য সংরক্ষণে উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আদালতের আদেশ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের আইনানুগ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা যাবে।

গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, বিমার প্রতি গ্রাহকদের আস্থাহীনতার বড় কারণ তাঁদের প্রত্যাশা বা বিমা দাবি পরিশোধ করতে পারছে না কোম্পানিগুলো। সব কোম্পানি যে করছে না তা নয়। ১৯টি কোম্পানি ৮০ থেকে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত বিমা দাবি পরিশোধ করছে। ১০টি কোম্পানি ৭০ শতাংশের ওপর দাবি পরিশোধ করছে। যারা দাবি পরিশোধ করে না, সেই সংখ্যাটা কম। তবে অনেক বেশি মানুষ প্রভাবিত হচ্ছেন।

কোম্পানিগুলোতে সুশাসনের অভাবে বিমা দাবি পরিশোধ হচ্ছে না। পুরো বিমা খাতে সুশাসনের অভাব আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ারবাজারনিউজ ডটকম/ শি.

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.