৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানোর প্রস্তাব বাজুসের
নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। একই সঙ্গে স্বর্ণ পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর অবকাশ চেয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বাজুস ও অন্যান্য সংগঠনের একাধিক কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানো হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। ব্যবসায় সমতা আসবে।
সোনার ওপর ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ, জুয়েলারি সংশ্লিষ্ট কর অব্যাহতি প্রদান, অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণের ওপর কাস্টমস ডিউটি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাজুস।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে পর্যটকদের সোনার বার আনা বন্ধ করা, ট্যাক্স ফ্রি সোনার অলংকার ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি।
তিনি পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে ব্যাগেজ রুল সমন্বয় ও একজন যাত্রীকে একবার ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারী সমিতি মূসক আইনের ২৬ ধারার আলোকে হাতে অব্যাহতির তালিকায় তৈরি কনফেকশনারি পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন।
ই-ক্যাব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ওপর ন্যূনতম কর ০.৬ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০. ১ শতাংশ করা, বাড়িওয়ালার আয়কর রিটার্নের দাখিল প্রমাণ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা বাতিলের প্রস্তাব দেয়।
৪০ হাজার প্রতিষ্ঠান রিটার্ন দাখিল করে কি না তা কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। পাশাপাশি জুয়েলারি ও ই-কমার্স খাতকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান।