আজ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করছে জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরাকান আর্মির নাস্তানাবুদ বার্মিজ জান্তা বাহিনী রাখাইনে মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণ গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে রাখাইনের একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম থেকে তারা শতাধিক যুবক-তরুণদের আটক করে নিয়ে গেছে।

গতকালও জান্তা বাহিনী রাখাইন রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপ থেকে আরও ৬৪ জন মুসলিম তরুণকে আটক করেছে। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওহ থেল মা গ্রাম থেকে ১২ জন নার গ্রাম থেকে ২ জন, আহ লেল ছাউং গ্রাম থেকে ২০ জন মুসলিম তরুণকে গ্রেফতার করা হয়।

বুথিডং টাউনশিপের এক জন বাসিন্দা নারিঞ্জারা নিউজকে জানান, জান্তা বাহিনীর সদস্যরা তিনটি গাড়িতে এসে জোরপূর্বক গ্রেপ্তার অভিযান চালায়। আমরা ব্যাপার গুলো নিয়ে খুশি নই, কিন্তু আমাদের কাছে আর কোনো উপায় নেই।

গত ১৯ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি জান্তা বাহিনী এনগা কিয়িং তাউক মুসলিম গ্রাম থেকে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া পু জুন চাউং মুসলিম গ্রাম থেকে ১৩ জন, লেট ওয়ে তাত ইওয়ার থিট এবং লেট ওয়ে তাত ইওয়ার হাউং গ্রাম মোট থেকে ৪০, পু জুন চাউং মুসলিম গ্রাম থেকে ১৩ এবং কিয়াকফিউ তাউং গ্রাম থেকে ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।

নিজস্ব সূত্রের বরাতে মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, আটক করে নিয়ে যাওয়া তরুণদের ৩৫২, ৩৫৩ এবং ৩৪৫তম ব্যাটালিয়নের অধিনে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক তরুণ নিজ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

একটি গ্রামের একজন মুসলিম প্রবীণ নারিঞ্জারা নিউজকে অভিযোগ করে বলেন, একাধিক অঞ্চলে যুদ্ধে পরাজয়ের পর জান্তা বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করতে মুসলমানদের অপহরণ করা শুরু করেছে। এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। রাখাইনে বৌদ্ধ এবং মুসলিম বাসিন্দাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি উসকে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। সৈন্যরা এখন যুবক এবং প্রবীণ উভয়কেই গ্রেপ্তার করে রাখাইনদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।

৯ ফেব্রুয়ারি মংডু টাউনশিপের মায়ো থু গি গ্রামে ৫ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে, ডিভিশন কমান্ডার থুরেইন তুন এবং জেলা প্রশাসক নে ওও গ্রামের মৌলভির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সামরিক জান্তাকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন।

তারা মুসলমানদের অস্ত্র সরবরাহের প্রস্তাবও দেয় যাতে তারা রাখাইন জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমরা এই পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করে।

জান্তা কিয়াউকফিউ টাউনশিপের কিয়াউক তা লোন মুসলিম ক্যাম্প থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ( ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী পুরুষদের) একটি তালিকা করেছে এবং জোরপূর্বক ১৫০ জনকে সামরিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.