আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ইং, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ মার্চ ২০২৪, সোমবার |

kidarkar

রপ্তানিপণ্য বহুধাকরণে চামড়া, পাট ও ওষুধকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এলডিসি গ্রাজুয়েশনে ও রপ্তানিপণ্য বহুধাকরণের অংশ হিসেবে চামড়া, পাট ও ফার্মাসিউটিক্যালস খাতকে সরকার প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে সিরডাপ মিলেনায়তনে সিপিডি আয়োজিত ‌‘হোয়াট ডিড ডব্লিউটিও-এমসি-১৩ ডেলিভারি ফর দ্যা গ্রাজুয়েট এলডিসি? পারসপেক্টিভস ফরম বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশন আমাদের জন্য সব সময়ই চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের ভাবনার জায়গা ছিল কত দিন সময় পাবো। আমরা এখন ২০২৬ সালের পরিবর্তে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় পাচ্ছি। এ সময় কী করতে হবে, সে বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন পরিষ্কার গাইডলাইন দিয়েছে। ওই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সামনে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এবারের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। রপ্তানিপণ্যে বহুধাকরণ করতে হবে। চামড়া, পাট ও ফার্মাসিউটিক্যালস এই তিনটি খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছি। এ বছর হস্তশিল্পকে বস্ত্রশিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই খাতকে জোর দিতে যাচ্ছি। এতে অনেক আয় হতো আসবে না, কিন্তু কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা ক্যাম্পেইন শুরু করেছি, আশা করছি সিপিডিকে আমাদের সঙ্গে পাবো।

dhakapost

আমাদের পণ্য যাতে কেউ নিয়ে যেতে না, সেজন্য সারা বছর কাজ করতে চাই এমন মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জিআই পণ্য ও কারিগর নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাদের পণ্য যাতে কেউ নিয়ে যেতে না, সেজন্য সারা বছর কাজ করতে চাই। জিআই পণ্যের মধ্যে আমাদের খাদ্য পণ্যও নিয়ে আসবো। যেমন-টাঙ্গাইলের চমচম হতে পারে। এসব নিয়ে কাজ করতে লিগ্যাল টিম দরকার। সেটা আমার মন্ত্রণালয়েও নেই, এক্ষেত্রে সিপিডি সাহায্য নিতে পারি। কারণ এসব কাজ করতে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।

অন্যদিকে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আলোচনায় বলেন, আমরা তিনটি বছর পেয়েছি। এই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে তিন বছরের দাম থাকবে না। ওই তিন বছরে আমাদেরকে গার্মেন্টস সেক্টর নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে বিকশিত ও বহুমুখীকরণ অর্থনীতিতে ঢোকা। সেজন্য শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য শ্রমিকের স্বার্থ ও মানদণ্ড, মেধাসত্ত্ব এবং আধুনিকায়নে বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রীপর্যায়ের সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশের খ্যাতি অর্জনের পরও সেসব দেশের জন্য স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্য সুবিধা বজায় রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার পর বাংলাদেশ আরও তিন বছর বাণিজ্য সুবিধা পাবে। ঘোষণাপত্র অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোয় রপ্তানি পণ্যের জন্য স্বল্প বা শূন্য শুল্ক সুবিধা ভোগ করবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.