আজ: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৬ মে ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারে পতনের তান্ডব, ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক :  পতনের তান্ডবে প্রতিদিনই পুঁজিরবাজারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে প্রতিদিনই বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। দিন যত যাচ্ছে বাজার তত খাদের মধ্যে চলে যাচ্ছে। বিনিয়োগ করা পুঁজি রক্ষার কোনো উপায় যেন খুঁজে পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস আজ রোববারও পুঁজিবাজার আরও রক্তাক্ত হয়েছে।আজ লেনদেন হওয়া প্রায় অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রেতশুন্য অবস্থায় থেকেছে। দিন যতই গড়াচ্ছে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই ক্রেতাশুন্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। আশঙ্কাজনক হারে কমছে লেনদেন।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৬ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা ১০ কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে।

মূল্যসূচকের অব্যাহত দরপতনের পাশাপাশি শেয়ারবাজারে লেনদেন খরাও দেখা দিয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। এতে সাড়ে চার মাসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন হলো।

রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দরপতনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৮৩ পয়েন্ট কমে যায়।

তবে লেনদেনের শেষদিকে কিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মাত্রা কিছুটা কমে। এর ফলে দরপতনের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকের পতনের মাত্রা কিছুটা কমে আসে। অবশ্য এরপরও বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সূচক।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৩১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২২ প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৫০ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের পর সূচকটি সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেলো। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ১৮৮ পয়েন্ট। এরপর সূচক আর এত নিচে নামেনি।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে ১৮৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা লেনদেন কমেছে। লেনদেন শুধু আগের দিনের তুলনায় কমেনি, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারির পর হয়েছে সর্বনিম্ন লেনদেন।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২২ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

১ টি মতামত “পুঁজিবাজারে পতনের তান্ডব, ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন সূচক”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.