ইতিবাচক পথে পুঁজিবাজার, বাজারমুখী হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন ধরে পতনের বৃত্তে আটকে ছিল দেশের পুঁজিবাজার। এমন পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিরাজ করছে নানা রকম অস্থিরতা। ইদের পর বাজার ভালো হবে এমন আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে ঈদের ছুটির পরও পুঁজিবাজার তেমনটা ইতিবাচক পথে ছিল না। ইদের পর বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিনিয়োকারীদের মধ্যে অস্থিরতা, হতাশা দেখা দেয়। ফলে বাজারে পতন চলতে থাকে । তবে সে সব হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার। ফলে বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে বাজারমুখী হচ্ছেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার এখন সবচেয়ে বেশি তলানিতে রয়েছে। যেকোন সময় বাজারে বড় উত্থান দেখা যেতে পারে। এমন অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য্যধারণ করতে হবে। তারা যেন অস্থির হয়ে কম দামে শেয়ার ছেড়ে না দেন। তাঁরা বলছেন, বাজারে বড় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছে। বাজারকে সামনে নেয়ারও নানা পদক্ষেপও আসছে। এতে উত্থান-পতনের প্রক্রিয়া সপ্তাহান্তে বাজার সামনের দিকেই অগ্রসর হবে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৯১২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪১ টির, দর কমেছে ৯৭ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭ টির।
ডিএসইতে ৫৩৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে।
সিএসইতে ২২৩ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭৬ টির এবং ১৭ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।