ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফেতে এবারে আনিসুল হকের ‘কখনো আমার মাকে’ নিয়ে আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্র্যাক ব্যাংকের ঢাকার প্রধান কার্যালয় এবং চুয়াডাঙ্গার রিডিং ক্যাফের সাহিত্যানুরাগী পাঠকরা সম্প্রতি আনিসুল হকের উপন্যাস ‘কখনো আমার মাকে’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যরা এক মাস ধরে উপন্যাসটি পড়ার পর সেটি নিয়ে আলোচনায় একত্রিত হন।
আনিসুল হকের এই বইটিতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতনের শিকার একজন নারীর যুদ্ধ-পরবর্তী জীবন নিয়ে গল্প গড়ে উঠেছে।
রিডিং ক্যাফের সদস্যরা লেখকের গল্প বলার ক্ষমতা, চরিত্রায়ন, কাহিনির বর্ণনা এবং সাহিত্যে অবদানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় লেখকের আরেক সৃষ্টি ‘মা’-এর উদাহরণ চলে আসে, এবং আলোচকরা সেই উপন্যাসে তাঁর লেখনশৈলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন, পাশাপাশি ‘কখনো আমার মাকে’ উপন্যাসের বিষয়গত দিক নিয়ে কথা বলেন।
রিডিং ক্যাফের ঢাকার আয়োজনে লেখক আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন। বই নিয়ে ক্যাফের সদস্যদের বিশ্লেষণ, আলোচনা, সমালোচনা এবং ব্যাখ্যা তিনি মন দিয়ে শোনেন এবং নিজেও সেই আলোচনায় অংশ নেন। রিডিং ক্যাফের এই আয়োজনে তাঁর উপস্থিতি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
আলোচনা শেষে আনিসুল হক ব্র্যাক ব্যাংকের পাঠকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এর আগে আমি কখনো শুনিনি যে, ব্যাংকিং বা কর্পোরেট পেশাজীবীরা প্রতি মাসে একটি করে বই পড়েন সেটি নিয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হন। নিঃসন্দেহে এমন উদ্যোগ বাংলাদেশে অন্যদের জন্যও অনুকরণীয়।” রিডিং ক্যাফে নিয়ে তাঁর করা প্রশংসা পাঠচক্রের সদস্যদের অনুপ্রাণিত এবং সম্মানিত করেছে।
একই সময়ে ব্র্যাক ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা রিডিং ক্যাফের সদস্যরাও তাঁদের উদ্বোধনী সেশনে ‘কখনো আমার মাকে’ নিয়ে আলোচনা করেন। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা রিডিং ক্যাফের উদ্বোধনও হয়। এর ফলে ভবিষ্যৎ সাহিত্যিক ধারার এক সুন্দর উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন ক্যাফের সদস্যরা।
আগামী মাসে ব্র্যাক ব্যাংক ঢাকা রিডিং ক্যাফের সদস্যরা মোস্তাক শরীফের ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘মসনদ’ পড়ে সেটি নিয়ে আলোচনা করবেন। অন্যদিকে ব্র্যাক ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা রিডিং ক্যাফের সদস্যরা হুমায়ূন আহমেদের ‘বাদশাহ নামদার’ পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।