মুনাফা তোলার চাপে আজও পতন পুঁজিবাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শেয়ারবাজার যেন প্রাণ ফিরে ফিরেছে। প্রতিদিনই সূচক ও লেনদেনে ছিল ধারাবাহিক উত্থান। হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রথম চার কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৭৮৬ পয়েন্ট।
এই চার কর্মদিবসে যারা শেয়ার কিনেছেন, তাদের অনেকেই বিনিয়োগের উপর ২০-৩০ শতাংশ মুনাফায় থাকেন। গতকাল সোমবার থেকে মুনাফায় থাকা বিনিয়োগকারীরা তাদের মুনাফা তোলা শুরু করলে বাজার বড় সংশোধন দেখা যায়। এদিন ডিএসইর সূচক কমে যায় ৮৩ পয়েন্টের বেশি।
আজ মঙ্গলবারও মুনাফা থাকা বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তোলার পথেই ছিলেন। যে কারণে আজ মঙ্গলবারও শেয়ারবাজার বড় পতনের পথে ছিল। আজ ডিএসইর সূচক কমেছে ৬৪ পয়েন্টের বেশি।
এতে দেখা যায়, শেয়ারবাজারে প্রথম চার কর্মদিবেস সূচক বেড়েছিল ৭৮৭ পয়েন্ট। আর দুই কর্মদিবসে মুনাফা তোলার চাপে সূচক কমেছে প্রায় ১৪৮ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাত শেয়ারবাজারের অতীব গুরুত্বপূর্ণ খাত। গত দুই দিন যাবত এই দুই খাতের শেয়ার ছিল নেতিবাচক প্রবণতায়। এর কারণ হলো, গত দুই দিন যাবত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে এখাতের অংশীজনেরা নেতিবাচক সমালোচনায় মুখরিত ছিলেন। সিপিডি দাবি করেছে, ২৪ ব্যাংকের কেলেঙ্কারিতেই ৯২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এই খবর শেয়ারবাজারে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যার ফলে উত্থানের বাজারে হঠাৎ ছন্দপতন দেখা দিয়েছে।
এদিকে, প্রথম চার কর্মদিবসে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বড় বিনিয়োগকারীরা প্রয়োজনীয় শেয়ার সংগৃহ করতে পারেনি। তারা নেতিবাচক খবরকে পুঁজি করে সেল প্রেসার দিয়ে পতন প্রবণতাকে আরও ঘনীভূত করছেন। যাতে কম দরে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার হাতিয়ে নিতে পারেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই দিনে বাজার যা সংশোধন হওয়ার হয়ে গেছে। আর হয়তো সংশোধন হবে না। আগামীকাল থেকেই বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তাঁদের মতে, সামনে বাজারের জন্য ভালো দিন অপেক্ষা করছে। কারণ ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে। রপ্তানী বাণিজ্যেও খুব শিগগির ঊর্ধ্বগতি দেখা যাবে। যার ফলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮৬৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৯ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬ টির, দর কমেছে ২৬৯ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪ টির।
ডিএসইতে ১ হাজার ১৫ কোটি ১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১২৮ কোটি ১ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৪৩ কোটি ২ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯ পয়েন্টে।
সিএসইতে ২৪২ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৮ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৮ টির এবং ১৬ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৫ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে
Down market a short sell chara bebsha kora jai na,short sell er choranto onomodon kobe dibe news koren.
pipeline a ki ipo ase news koren.
Strategic investor ra market er unnoyon a ki kaj kortese news koren.
Sharebazare china biniyog Korar jonno ekti Noton index Korbe,eta Kobe korbe news Koren.