আন্তর্জাতিকডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালের এক মহিলা ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপ দিতে বুধবার ১২ ঘণ্টার ‘বাংলা বন্ধ’ করেছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বাংলা বন্ধ কর্মসূচির পর মোদিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আগুন লাগলে তা সেভেন সিস্টার এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে।

মোদি পশ্চিমবঙ্গকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ অস্থিতিশীল হলে মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করেন এটা বাংলাদেশ! আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। তারা আমাদের মত কথা বলে। তাদের সংস্কৃতি আর আমাদের সংস্কৃতি একই। তবে মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটি পৃথক রাষ্ট্র, ভারত একটি পৃথক রাষ্ট্র। মোদিবাবু, আপনি আপনার দলে আগুন লাগাচ্ছেন। মনে রাখবেন, বাংলায় আগুন ধরিয়ে দিলে আসাম থামবে না, উত্তর-পূর্ব থামবে না, উত্তরপ্রদেশ থামবে না, বিহার-ঝাড়খণ্ড-দিল্লি থামবে না। আমি তোমার চেয়ার নড়বড়ে করে দেব।’

মমতা বলেন, আমি বিজেপির মতো অত্যাচারী, অহংকারী, চক্রান্তকারী দল দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র এজেন্সি স্থাপন করেছিলেন, কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের ঘটনার জন্য পদত্যাগ করেননি। গতকাল পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ছাত্ররা। এই নিয়ে কথা বলেন মমতাও।

মমতা দাবি করেছেন, বিজেপি নভন্নকে ঘেরাও করে মৃতদেহের নিষ্পত্তি করতে চায়। যেন আন্দোলনে উসকানি দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ তা হতে দেয়নি। তিনি বলেন, ‘গতকাল তারা লাশ চেয়েছিল, পুলিশ সংযত ছিল, রক্ত ​​দিয়েছে, ধৈর্য্য দেখিয়েছে, পুলিশকে স্যালুট দিয়েছে।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরজি কর ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দেওয়া হবে জানিয়ে বলেন, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক, আমি এটাকে ফাস্ট ট্র্যাকে নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলাম। ধর্ষণের একটাই শাস্তি ফাঁসি, রাষ্ট্রের ক্ষমতা থাকলে ৭ দিনে ফাঁসি দিতাম। আমি আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডাকব এবং ধর্ষণবিরোধী বিল পাশ করব।