আজ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

বন্যায় ২৭৯৯ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১ জেলায় ২ হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্র ও বইপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বাজেট সমন্বয় করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নোয়াখালীর ৭৬৩টি, লক্ষ্মীপুরের ৫০১, ফেনীর ৫৫০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২২, কুমিল্লার ৫২৩, চাঁদপুরের ১৬৯, চট্টগ্রামের ১৬৪, মৌলভীবাজারের ৭৭, সিলেটের ৮ ও হবিগঞ্জের ২২টি। খাগড়াছড়িতে কোনো বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অফ স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রসমূহের নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১৮টি উপজেলার ৯৪৬টি শিখন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সাম্প্রতিক বন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং করণীয়’ সংক্রান্ত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের সময়ে কাজগুলো ইমার্জেন্সি বেসিসে করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবো।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া সরাসরি ও সংশ্লিষ্টরা অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ১৫ হাজার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৮ হাজার ৭৩৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান।

ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজীর ৫৮২টি বিদ্যালয়ে ৯৭ হাজার ৫৫৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তক হতে ২৪ হাজার ২৭৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকি পাঠ্যপুস্তকের সমন্বয়ের কার্যক্রম চলমান।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২,৩০০ পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গুদামে থাকা পাঠ্যপুস্তক থেকে সেগুলো সমন্বয় করা হয়েছে।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৫৫৯টি বিদ্যালয়ে ১৩,৮১০টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলো সমন্বয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১০০টি বিদ্যালয়ে ২,১৬০টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলোর সমন্বয় করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, জেলায় বন্যায় কোন পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি মর্মে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বইপুস্তক এর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা প্রকৌশলী, শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে সঠিকভাবে নিরূপণ করবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পোশাক ও ব্যাগের তালিকা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। বিদ্যালয়গুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডার সংগ্রহসহ অন্যান্য জরুরি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.