ডিম-মুরগির বেঁধে দেয়া দামে লাভ থাকলেও মানছেন না বিক্রেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজার স্থিতিশীল করতে সরকার ডিম-মুরগির দাম বেঁধে দিলেও এখন পর্যন্ত রাজধানীর বাজারে এ দাম কার্যকর হয়নি। দাম কার্যকর করতে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, করেছে জরিমানা। ক্রেতাদের ভাষ্য, বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে আর ব্যবসায়ীদের নৈতিকতা রেখে করতে হবে মুনাফা।
ডিম ও মুরগির দাম সরকার বেঁধে দিলেও বাজার ঘুরে দেখা যায়নি এর বাস্তবায়ন। এখনও বিক্রেতারা নিজেদের ধরা দামেই বিক্রি করছেন পণ্য। ক্রেতারা বলছেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়ন এখনও হয়নি, কাটেনি বাজারে অস্থিরতা।
অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে চালায় অভিযান। দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লারে ২২ টাকা করে লাভ করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ডিম ডজনপ্রতি লাভ রাখছেন ৭ টাকা করে।
এতদিন ধরে ভোক্তা-অধিকার ব্যবসায়ীদের ক্রয়ের ক্যাশ মেমো রাখার কথা বললেও মানছেন না তারা। অন্যদিকে নিষেধ থাকার পরেও জীবিত মুরগির দোকানে ডিপ ফ্রিজ রাখায় যোগ হচ্ছে সন্দেহ।
সরকার দাম বেঁধে দিলেও একাংশ ব্যবসায়ীর দাবি, এই দামে ডিম-মুরগি বিক্রি করলে লাভ থাকে না। খামারিদের থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, এমন অজুহাত অনেকের। তবে যারা দাম মেনে বিক্রি করছেন, তাদের ভাষ্যমতে, সরকারের বেঁধে দেয়া দাম যৌক্তিক, থাকছে মুনাফাও।
খামারিরা যদি বেশি দাম রাখে তাহলে সে বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সরকারের বেঁধে দেয়া দাম না মানায় মোহাম্মাদপুরের দুটি দোকানকে মোট ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সরকারের বেঁধে দেয়া দাম মানা হলে ক্রেতাদের চাপ কমবে, বাজারে ফিরবে স্থিতিশীলতা। একদিনের অভিযান নয়, বরং টানা নজরদারিতে রেখে ডিম-মুরগির বাজার স্থিতিশীল রাখতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।