বাজারভিত্তিক হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহারও এখন থেকে বাজারের ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হবে। এত দিন সুদহার নির্ধারণের স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার নির্ধারিত হতো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে, পণ্যভেদে ঋণের সুদহারের ব্যবধানে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ পার্থক্য রাখা যাবে। ছয় মাসে একবার সুদহার পুনর্নির্ধারণ করে বাজারভিত্তিক করা যাবে। ঋণ দেওয়ার সময়ই লিখিত থাকতে হবে ঋণ পরিবর্তনশীল, নাকি অপরিবর্তনশীল।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রোববার এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর ফলে সুদের হার বাড়বে বলে জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণের মাধ্যমে ফাইন্যান্স কোম্পানিসমূহের ঋণ/লিজ/বিনিয়োগ ও আমানতের সুদহার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে স্মার্টভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের জোগানের ভিত্তিতে ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারিত হবে।
তবে বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণে কিছু নিয়ম মানতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। যেমন ঋণের খাতভিত্তিক সুদহার ও আমানতের সুদহার ওয়েবসাইটে প্রকাশ। ঝুঁকি বিবেচনায় গ্রাহকভেদে নির্ধারিত সীমার মধ্যে সুদের হারে ১ শতাংশ পর্যন্ত তারতম্য করা যাবে। ঘোষণার চেয়ে ঋণ ও আমানতে বেশি সুদ আরোপ করা যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদহারের ধরন অর্থাৎ তা অপরিবর্তনশীল বা পরিবর্তনশীল কি না, তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ থাকতে হবে। পরিবর্তনশীল সুদহারের ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের ছয় মাসের মধ্যে মঞ্জুরিপত্রে নির্ধারিত সুদহার বাড়ানো যাবে না। পরবর্তী সময়ে প্রতি ছয় মাস অন্তর বাজারের অবস্থা অনুযায়ী সুদহার পুনর্নির্ধারণ করা যাবে।