আজ: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৮ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার |

kidarkar

ব্র্যাক ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ২০২৩ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ব্লুম ইনটু দ্যা ফিউচার’ থিম নিয়ে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ২০২৩ প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এটি ব্যাংকটির দ্বিতীয় সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট।

১৭ অক্টোবর ২০২৪ রিপোর্ট উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার।

এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, ব্র্যাক ব্যাংকের কর্পোরেট ও এসএমই ক্লায়েন্ট, স্টেকহোল্ডার এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এই রিপোর্টটি টেকসই ভবিষ্যতের প্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে, যা গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসনের (ইএসজি) ওপর গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্টটি ব্যাংকটির টেকসই কৌশল সম্পর্কে সার্বিক ধারণা প্রদান করে।

সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের আর্থিক খাতে পরিবেশগত দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে পথিকৃৎ হিসেবে ব্যাংকটির অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। স্বচ্ছতা অনুশীলনের মাধ্যমে দায়িত্বশীল অর্থায়ন, সুশাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতি ফুটে উঠেছে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমি বাংলাদেশে এমন এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি, যেখানে শহুরে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে কৃষি পরিকল্পনা, যেমন সবুজ অর্থায়ন, সার্কুলার ইকোনমি প্র্যাকটিস এবং টেকসই প্রযুক্তির মতো উদ্ভাবনী সল্যুশনে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সবুজ অর্থায়ন বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের গৃহীত উদ্যোগগুলো অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠান সবুজ অর্থায়ন এবং টেকসই অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চায়, সেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি আদর্শ মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।”

দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সাসটেইনেবিলিটি বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশের সংস্কৃতির প্রসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়ে নূরুন নাহার বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি রেটিং শুধু একটি ব্যাংকের পারফর্ম্যান্সের পরিমাপকই নয়, বরং তা দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংকটির নেওয়া নানান উদ্যোগ, যা অর্থনৈতিক অগ্রগতি, পরিবেশ সুরক্ষা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়গুলোও তুলে ধরে।”

মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, “বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়- উভয় ক্ষেত্রেই টেকসই ব্যাংকিং প্র্যাকটিসের প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পেরে ব্র্যাক ব্যাংক গর্বিত।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আর্থিক খাতকে অবশ্যই মানুষ, পৃথিবী এবং দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে। আমাদের এই রিপোর্টে সাসটেইনেবিলিটি বিষয়ে আমাদের ব্যাংকের উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “আমাদের রিপোর্টটি মূল্যবোধ-ভিত্তিক, দায়িত্বশীল এবং টেকসই ব্যাংকিং প্র্যাকটিসের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। সামাজিক এবং পরিবেশগত বিষয় বিবেচনা করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রসারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা শুধু একটি ব্যাংক হিসেবেই বড় হচ্ছি না, বরং আমরা একটি বৃহৎ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যতকেও নতুন রূপ দিচ্ছি।”

ব্র্যাক ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.