আজ: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ইং, ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারে লেনদেন-বিনিয়োগ বাড়াতে ২০ ব্রোকারের সঙ্গে বসবে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে লেনদেন ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজারে স্থিতিশীলতা আনয়ন ও বিনিয়োগ বাড়াতে ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তি, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূরকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করে তাদের পুনরায় বিনিয়োগে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে পলিসি সাপোর্ট নির্ধারণের লক্ষ্যে বিএসইসি পুঁজিবাজারের শীর্ষ স্থানীয় ২০টি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএসইসি। আজ মঙ্গলবার বিএসইসির সার্ভিল্যান্স ডিপার্টমেন্টর উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি সভার নোটিস জারি করা হয়েছে।

বৈঠকে ডাকা ২০ ব্রোকারেজ হাউজগুলোর নাম হলো- আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড, সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড, ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, শান্ত সিকিউরিটিজ লিমিটেড, শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, আইডএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, রয়্যাল ক্যাপিটাল লিমিটেড, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস লিমিটেড, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির জারি করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিএসইসির সম্মেলন কক্ষে একটি সভা আয়োজন করা হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। প্রাসঙ্গিক আলোচনা করার জন্য ২০টি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিএসই) সভায় উপস্থিত হবার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘পুঁজিবাজারে শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলারদের কি ধরনের পলিসি সাপোর্ট প্রয়োজন সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। ব্রোকারেজ হাউজগুলোর পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনে বিএসইসি পলিসি সাপোর্ট দেবে। পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে পলিসিগত কি কি করণীয় রয়েছে- সে বিষয়ে আলোচনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য কি কি করণীয় সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এছাড়া সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আরও শক্তিশালী করা বিষয়েও ব্রোকারদের পরামর্শ নেওয়া হবে। পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বড় পরিসরে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে কি কি ধরনের পলিসি সাপোর্ট দরকার সে বিষয়ে ব্রোকারদের মতামত নেওয়া হবে। আর পুঁজিবাজারের গভীরতা কীভাবে বাড়ানো যায় এবং বৈচিত্র্যময় পণ্য বাজারে এনে কীভাবে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পুঁজিবাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও আলোচনা করব। খুব দ্রুত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যেন আস্থা ফিরে আসে সে লক্ষ্যে বিএসইসি কাজ করছে। আগামীতে এর ফলাফল পুঁজিবাজারে পরিলক্ষিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমান পুঁজিবাজার বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে আন্ডার ভ্যালু অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি মুনাফা পেতে পারেন। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ফিরবে। এতে পুঁজিবাজার শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কথা জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, এসব উদ্যোগের ফলে শেয়ারবাজারের বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দ্রুত সুফল পাবে। অতীতের দুরবস্থা ও শেয়ার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সরকার তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে সুবিধা দেবে। গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.