ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা’র বৈজ্ঞানিক আলোচনা সভা আয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ‘ট্রান্সফর্মিং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন এন্ড হেমাটোলজি ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে একটি বৈজ্ঞানিক আলোচনা সভা আয়োজন করে ও এই উপলক্ষে একটি র্যালিরও আয়োজন করা হয়, যেখানে নার্স এবং ডাক্তাররা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে একত্রিত হন এবং রক্তের রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ করেন। একইসঙ্গে, হাসপাতালের হেমাটোলজি এবং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট (বিএমটি) ইউনিট রক্তের ক্যান্সার ব্যবস্থাপনায় শ্রেষ্ঠত্বের এক দশক পূর্তি উদযাপন করছে, যেটি ১ নভেম্বর, ২০১৪ সালে চালু হয়েছিল।
এ উপলক্ষ্যে এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) -এর হেমাটোলজি এবং বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, “ব্লাড ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি মোকাবেলার সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে এবং সময় মতো চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী হতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হল সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।”
এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ-এর সিইও ও এমডি ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কার বলেন, “নিরলস সেবার মাধ্যমে, আমাদের হেমাটোলজি এবং বিএমটি বিভাগ বাংলাদেশে রোগীদের সেবার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এই অর্জন আমাদের সামনে আরও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার প্রেরণা জোগায়।”
ডা. আরিফ মাহমুদ, এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ-এর গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর বলেন, “আমাদের বিএমটি ইউনিটের এই যাত্রা বাংলাদেশে রোগীদের সেবা প্রদানে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আমরা প্রতিদিন রোগীদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এভারকেয়ার হসপিটাল এর হেমাটোলজি ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মেলোমা এবং সম্পর্কিত অন্যান্য রোগ নির্ণয়ে সফলতা অর্জন করেছে।
এভারকেয়ার হসপিটালে রোগ নির্ণয়, স্টেজিং, কেমোথেরাপি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইত্যাদি নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। রোগীদের জন্য সেরামানের সেবা নিশ্চিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা ২৪/৭ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছেন। এভারকেয়ার হসপিটালে পজেটিভ প্রেশার ইউনিট (পিপিইউ), হেপা ফিল্টার, রিভার্স ওসমোসিস ওয়াটার সাপ্লাই এবং এয়ার মাইক্রোবিয়াল মনিটরের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়। এছাড়া, সেন্ট্রাল লাইন (পিআইসিসি লাইন, হিকম্যান লাইন, পারমা ক্যাথ, কেমো পোর্ট) সহ প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরণের উন্নত ইমিউনোথেরাপি ও কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয়। হেমাটোলজি ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) বিভাগ থেকে টিপিই, লিউকাফেরেসিস ও প্লাটিলেটফেরেসিস সহ সব ধরণের ব্লাড প্রোডাক্ট ২৪/৭ সরবরাহ করা হয়। এখানেই দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় প্লাজমা সেপারেটর চালু করা হয়েছে। এছাড়া, স্টেম সেল প্রসেসিং এবং ক্রায়োপ্রিজার্ভেশন সুবিধাও আছে এখানে।
এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ সামনে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার মান পরিবর্তন ও আরও উন্নত করতে সিএআর-টি সেল থেরাপি এবং জিন থেরাপিসহ উন্নত কিছু থেরাপি প্রবর্তনের পরিকল্পনা আছে কর্তৃপক্ষের। এরই মাধ্যমে হেমাটোলজি ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (বিএমটি) বিভাগটি বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।