মুনাফা তোলার চাপে বড় উত্থান থেকে পতনে শেয়ারবাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগের দুই কর্মদিবসের ধারাবাহিকতায় বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে উত্থান প্রবণতায় শুরু হয় লেনদেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতায় চলছিল লেনদেন। তবে মুনাফা তোলার মানসিকতা থেকে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়েছে যায় শেয়ারবাজারে। এতে করে সকালে আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হতাশায় শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক শেয়ারবাজারে মূলধনী মুনাফার ওপর করের হার কমানো আর ডিভিডেন্ড বিতরণ-উৎসে কর কর্তন সার্টিফিকেট ইস্যুকরণে বিএসইসির নির্দেশের সোমবার এবং মঙ্গলবার বড় উত্থান হয় শেয়ারবাজারে। দুই দিনে শেয়ারবাজারের সূচক ১৭৫ পয়েন্ট বাড়ে। এ সময়ে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা তোলার মানসিকতা তৈরি হয় বিনিয়োগকারীদের মাঝে। এদিন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী মুনাফার আশায় হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে অস্থির হয়ে পড়ে। এর কারণেই শেষ পর্যন্ত পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে।
এনবিআর আর বিএসইসির দুই ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে সোমবার আর মঙ্গলবার দুই দিনে শেয়ারবাজারে ১৭৫ পয়েন্ট সূচক বাড়ে। এর মধ্যে সোমবার ৬২ পয়েন্ট আর মঙ্গলবার ১১৩ পয়েন্ট সূচক বাড়ে। তবে বুধবার উত্থানে লেনদেন শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে পতনে নামতে থাকে বাজার। শেষ পর্যন্ত পতনেই শেষ হয়েছে লেনদেন।
বুধবারের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ১৭.৯৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ‘ডিএসই ৩০’ ০.০১ পয়েন্ট কমেছে। আর ‘ডিএসই এস’ সূচক বেড়েছে ০.৯৯ পয়েন্ট।
আজ ডিএসইতে ৬৫১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ২৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।
কারা মুনাফা তুলল তাদের দিকে নজর দিল দেওয়া দরকার