আজ: রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

পানির অভাবে ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ গাজার ১২ লাখ মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। এতে মারাত্মক সুপেয় পানি সংকটে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে খান ইউনিস শহর। সেখানকার ১২ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত মানুষ সুপেয় পানির অভাবে এখন ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে খান ইউনিস শহর কর্তৃপক্ষ। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

বিবৃতিতে নগর সরকার বলেছে, ক্রমাগত জ্বালানি বন্ধের কারণে নলকূপ এবং ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়েছে। খান ইউনিসের ১২ লাখেরও বেশি বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত মানুষজন পানযোগ্য ও ব্যবহারযোগ্য পানি পাচ্ছে না।

নগর সরকার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থগিত করার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সতর্ক করে বলেছে, অপরিশোধিত বর্জ্য জল রাস্তায় প্লাবিত হতে পারে, পরিবেশগত এবং স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এতে রোগ ও মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে, নগর সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে, যা জীবনের সমস্ত দিক ধ্বংস করেছে।

নগর সরকার জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে এবং জনসেবা সম্পূর্ণ পতন রোধে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং খুচরা যন্ত্রাংশ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আক্রমণ ১৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে ৪৩ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ছিটমহলটিকে প্রায় বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। ইসরায়েলের চলমান অবরোধের ফলে গাজায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

গাজায় ইসরায়েল তার কর্মকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যা মামলার মুখোমুখিও হচ্ছে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.