ইউসিবি নাইট’ আয়োজনে গ্রাহক ও অংশীদারদের অব্যাহত সহযোগিতার স্বীকৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: সঙ্গীত, থিয়েটার পরিবেশনা, মুখরোচক খাবার ও অনুপ্রেরণামূলক আলাপে সময়কে স্মরণীয় করে তুলতে গত ২২ নভেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত ‘ইউসিবি নাইট – এ সেলিব্রেশন অব নিউ বিগিনিং’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। বিগত বছরগুলোয় ব্যাংকের প্রতি গ্রাহক ও অংশীদারদের অব্যাহত সহযোগিতার স্বীকৃতি জানাতে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে অনবদ্য এই আয়োজন করে ইউসিবি।
প্রথমেই ইউসিবি’র ঐতিহ্য তুলে ধরে আকর্ষণীয় এই আয়োজনটি শুরু করেন আজরা মাহমুদ ও কাজী সাবির। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, ইউসিবি’র চেয়ারম্যান শরীফ জহীর এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ। এসময় ইউসিবি’র কর্মকর্তা ও ব্যাংকটির গ্রাহকদের মধ্যে উষ্ণ ব্যক্তিগত আলাপ এই আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে।
ব্যাংকটির গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এমন নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে নতুন যাত্রাকে স্বাগত জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়; কারণ, গ্রাহকরাই ব্যাংকিং খাতের প্রাণ। আয়োজনে ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টের নির্ভীক তরুণদের স্মরণে সাইফুল জার্নালের পরিচালনায় একটি থিমেটিক মিক্স মিডিয়াম থিয়েট্রিক্যাল পারফরম্যান্স পরিবেশিত হয়। পরিবেশনাটিতে জাতির সমৃদ্ধ আগামীর ভিত্তি হিসেবে শূন্য দারিদ্র, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ – এই ‘তিন শূন্য’ অর্জনের লক্ষ্যে ইউসিবি’র অনন্য যাত্রার শৈল্পিক প্রকাশ তুলে ধরা হয়। আয়োজনে অতিথিরা জনপ্রিয় শিল্পী অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস, হাবিব ওয়াহিদ ও কিংবদন্তি রুনা লায়লার প্রাণবন্ত সঙ্গীত উপভোগ করেন।
এছাড়াও, আয়োজনে খ্যাতিমান অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন। অদম্য সাংবাদিকতার জন্য তাকে সম্মাননা জানানো হয়। বাংলা আউটলুকের বিশেষ প্রতিনিধি মুক্তাদির রশিদ রোমিও তার পক্ষে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। পাশাপাশি, আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ও সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। ফাউন্ডেশনের অসামান্য প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দিতে ইউসিবি’র সমর্থন ও সংহতির অংশ হিসেবে তাদের হাতে একটি চেক তুলে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইউসিবি’র চেয়ারম্যান শরীফ জহীর বলেন, “আপনারা সবাই জানেন, ইউসিবি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা গ্রাহকবান্ধব ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে। গ্রাহক ও অংশীদাররাই আমাদের শক্তি। আমরা আশাবাদী, আমাদের গ্রাহকরা আগামী দিনগুলোতেও আমাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবেন, যেন আমরা ব্যাংকিং খাতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারি।”
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইউসিবি দেশজুড়ে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ২৩১টি শাখায় কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশজুড়ে একটি কার্যকর ও অগ্রসর ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে তারা। এর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায় ইউসিবি। নেতৃস্থানীয় এই ব্যাংকটি এর সফলতার জন্য গ্রাহক, অংশীদার, কর্মী, সহযোগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। আয়োজনটি এই কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ, যেখানে সবাই একসাথে নতুন এই যাত্রাকে স্বাগত জানান।