আজ: রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ইং, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

গণতন্ত্র ও উন্নয়নের এই সন্ধিক্ষণে সব আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরুন

শেয়ারবাজার ডেস্ক : বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন যে সরকার গঠিত হয়েছে তাদের প্রতি মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা বেশি। সরকারও মানুষের এ আশার প্রতি সম্মান ও সহনশীল। আমি মুহূর্তটাকে গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের সন্ধিক্ষণ হিসেবে আখ্যায়িত করছি। এরকম সন্ধিক্ষণে আমাদের যত ধরনের স্বপ্ন, যত ধরনের আকাঙ্ক্ষা আছে তুলে ধরতে হবে। এটিই সঠিক সময়।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের (ইউবিআই) কার্যকারিতা মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

সংলাপে ইউবিআই এর কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান।

অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেন, আমরা এমন একটা সমাজ গড়বো যেখানে মানুষ উন্নয়ন ও বিকাশের নিশ্চয়তা পাবে। সেই সেই নিশ্চয়তার অন্যতম বিষয় হলো মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া, জীবনধারণের ন্যূনতম উপকরণ আছে সেইগুলোকে নিশ্চয়তা দেওয়া। আমাদের সংবিধানেও প্রতিটি নাগরিককে সামাজিক, আর্থিক ও মানবিক নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে।

বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সংস্কার আলোচনা চলছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটিই এখন সময়; এ রকম প্রতিশ্রুতিশীল ধারণাকে জনগণের সামনে নিয়ে আসা। সমস্ত নাগরিকের জন্য পর্যায়ক্রমে একটি ন্যূনতম আর্থিক নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি কী, পারি না তা এই গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সবার জন্য ন্যূনতম জীবন মান নিশ্চিত করা যায় এজন্য ইউবিআই করা হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের প্রোগ্রাম হাতে নেওয়ার কী ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে, তা এই গবেষণার উদ্দেশ্য। এই ইউবিআই শুধু উন্নত দেশেই নয়, নিম্ন মধ্য আয়ের দেশও নিম্ন আয়ের দেশেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। সবাইকে ন্যূনতম আয় দেওয়া হলে এটায় কোনো অসুবিধা নেই; কিন্তু এখানে বড় চিন্তার জায়গা হলো আর্থিক সক্ষমতা হবে কীভাবে।

দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেন, আমাদের দারিদ্র্য কমেছে। কিন্তু বৈষম্য বেড়েছে। দারিদ্র্যটা এমন অবস্থায় আছে যদি হঠাৎ করে একটা শক আসে, তাহলে দেখা যায় অনেক মানুষ আবার দরিদ্র হয়ে যায়। সামাজিক নিরাপত্তায় অনেক দুর্বলতা আছে। ভাতা অনেকেই পায় না। আবার দীর্ঘদিন ধরে ভাতার পরিমাণ না বাড়ায় এর কার্যকারিতা হারায়। আমাদের আর্থিক সক্ষমতা খুব একটা ভালো না। ট্যাক্স জিডিপি রেশিও অনেক কম।

এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে রিজওয়ান রহমান বলেন, ইউবিআই যেসব দেশে আছে সেখানে ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও অন্তত ১০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশে উন্নতি হওয়ার পরে মাত্র ১.২ শতাংশ ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বেড়েছে। এই রেশিও দিয়ে অর্থায়ন সম্ভব কী না, সেটার পাশাপাশি অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ তো আছেই।

তিনি বলেন, এটা যেহেতু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাবে, এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া জরুরি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটার একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে পারে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.