আজ: বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ইং, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

ইসকনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

শেয়ারবাজার ডেস্ক : চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ইসকন নিষিদ্ধেরও দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সব ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। আমরা সবার অধিকার রক্ষায় কাজ করব। কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করলে বাংলাদেশে এক হাত জায়গাও দেওয়া হবে না। আমার ভাই সাইফুলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ইসকনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।’

বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস মোড়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি ‘এই ইসকন জঙ্গি, তারা স্বৈরাচারের সঙ্গী’ বলে স্লোগান দেন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের জামিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। এরপর তাঁদের নেতৃত্বে প্রায় এক হাজার মানুষ টাইগার পাস মোড়ে অবস্থান নেন। তারা ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দেন। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ভুলে যাইনি, কীভাবে এই ইসকন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সহায়তায় ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। ভারতে বসে যতই ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হোক, আমরা বাংলাদেশের মানুষ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেব। বিদেশে বসে এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশকে অশান্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা বলে দিতে চাই, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন এই বাংলাদেশে হবে না।’

সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহর পাশাপাশি বক্তব্য দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ প্রমুখ। তারা সবাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা সব ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেউ যদি সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করে, তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। এই চট্টলায় ইসকনের জায়গা হবে না। আমরা ১৬ বছরের খুনি হাসিনাকে দেশছাড়া করেছি। এমন জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের কাছে হাতের ময়লা।’

অন্য বক্তারা বলেন, সনাতনী ভাইয়েরা এখনো সোচ্চার। কিন্তু ইসকনের সন্ত্রাসীরা তাদের বিভ্রান্ত করছে। এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাঁদের বিচার করতে হবে। তা না হলে ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়বে না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.