আজ: রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার |

kidarkar

মীর আক্তারের আইপিও এবং বন্ডের অর্থের ব্যবহার খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের আইপিও’র অর্থ ব্যবহার নিয়ে তদন্ত করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) এবং জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করার মাধ্যমে সংগৃহীত ৩৩২ কোটি টাকা যথাযথভাবে ব্যবহার করেছে কি না, তা তদন্ত করতে একটি পরিদর্শন কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কোম্পানিটি আইপিও থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করেছে, সেই টাকা আইন অনুযায়ী খরচ করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিএসইসি ২৭ নভেম্বর গঠিত তিন সদস্যের একটি পরিদর্শন কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফারুক হোসেন কে। কমিটির অন্য সদস্যদ্যের মধ্যে রয়েছে মো. শাহনৌস ও সহকারী পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোম্পানির একটি সূত্র জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তারা পেয়েছে। কমিশনের আদেশ অনুযায়ী পরিদর্শন দলটি সশারীরে পরিদর্শন করবেন এবং সরঞ্জাম পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে বলেও জানান।

এর আগে চলতি বছরের মার্চে একটি পরিদর্শন দল গঠন করেছিল কমিশন। তবে কমিশনের সিদ্ধান্তের কারণে আগের দলটি এগোতে পারেনি। নতুন কমিশন এখন পরিদর্শন আবার শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

২০২০ সালের নভেম্বরে, বিএসইসি কোম্পানিটিকে তার ব্যবসা সম্প্রসারণ, সরঞ্জাম ক্রয় এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য বুক-বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমতি দেয়। দরপত্রের পর মীর আক্তারের শেয়ারের কাট-অফ মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬০ টাকা। আইপিও তহবিলের অর্থ ১৮ মাসের মধ্যে ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ে অর্থ খরচ করতে পারেনি।গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার আইপিও আয়ের ব্যবহার শেষ করেছে।

২০২২ সালের মার্চ মাসে কোম্পানিটিকে ঋণ পরিশোধ এবং মূলধনের ভিত্তি বাড়ানোর জন্য ২৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার অনুমতি দেয়। এর ইস্যু মূল্য ছিল ২০৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

২০২৪ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, কোম্পানির একত্রিত রাজস্ব আগের বছরের একই সময়ে ৭৪.৮৩ কোটি টাকা থেকে ৫০ শতাংশ কমে ৩৭.৬৭ কোটি টাকা হয়েছে।

একই সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী একত্রিত নিট মুনাফা এক বছর আগের ৩.২১ কোটি টাকা থেকে ১২ শতাংশ কমে ২.৮২ কোটি টাকা হয়েছে। এর শেয়ার প্রতি একত্রীকৃত আয় দাঁড়িয়েছে ০.২৩ টাকা। সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদের মূল্য ছিল ৫০.৩২ টাকা।

২০২৪ কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছিল। একই বছরে রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ২৬৮.৭৪ কোটি টাকা, যেখানে কর-পরবর্তী লাভের পরিমাণ ছিল ৩০.০৪ কোটি টাকা।

২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ছিলো ৪৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারিদের হাতে ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিলো ৪৭ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার ।

২০২২-২৩ অর্থবছরের কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের বর্তমানে ৯ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে।

১ টি মতামত “মীর আক্তারের আইপিও এবং বন্ডের অর্থের ব্যবহার খতিয়ে দেখবে বিএসইসি”

  • Anonymous says:

    [10/17, 15:11] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম
    শেয়ার বাজার কে আরো আধুনিক করতে হবে।
    অ্যাকাউন্ট ব্যাংকের সাথে যুক্ত করতে হবে।
    যাতে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ সরকারি আধা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী সহজে লেনদেন করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
    আমরা নিজেরা নগদ বিকাশ রকেট এর মাধ্যম এ টাকা জমা দিব।
    তোলার সময় যাতে সহজে তুলতে পারি ভুতের মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
    বিএসসির চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদন শেয়ার মার্কেট কে আরো দ্রুত ডিজিটাল করেন।
    এতে মানুষের আস্তা এবং বিশ্বস্ততা বাড়বে।
    আল্লাহ হাফেজ।
    [10/19, 10:26] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম
    শেয়ার বাজার কে যতদিন
    ডিজিটাল না করবেন ততদিন দুর্বল থাকবে
    বোকারেস হাউস এর পাশাপাশি সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে অ্যাকাউন্ট যোগ করে দেন।
    সারাদেশের শিক্ষিত মানুষ ব্যবসায়িক মানুষ
    শেয়ার ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করতে পারবে। গোপনীয়তা আরো মজবুত করতে হবে।
    মানুষের কোটি কোটি টাকার ব্যবসা
    খুব তাড়াতাড়ি ডিজিটাল করা উচিত।
    আমার টাকা আমি যখন খুশি তুলবো এবং যখন খুশি জমা দিব।
    ডিএসসি এবং বিএসসি এর নিকট আকুল আবে বিনো কারীদের দিকে তাকিয়ে না হলেও দেশের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল করেন।
    আল্লাহ তালা আপনাদের সঠিক জ্ঞান দান করেন।
    আমিন
    [10/21, 17:03] Md.alamgir hossain: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
    আমার মতাম,
    বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে,
    বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেশেয়ারের পরিমাণ ৩০ কোটি এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
    এবং সরকারি কোম্পানি ৫০ কোটি শেয়ারের বেশি হওয়া
    উচিত না।
    তাহলে বাজার ভালো থাকবে।
    [10/27, 19:04] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম
    বিএসইসি চেয়ারম্যান মহোদয় এর নিকট আকুল আবেদন
    মার্কেটে কোন কোম্পানি আসার পর
    জেট ক্যাটাগরিতে দেওয়া যাবে না।
    এতে করে গ্রাহকের চরম ক্ষতি হয়।
    বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হল।
    [10/27, 19:08] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম
    শেয়ার মার্কেট একটি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান।
    এখনো বোকারেজ হাউস নির্ভর।
    এতে মানুষের আস্থা
    কম।
    ব্যাংকের সাথে এড করে দেন যাতে করে মানুষ সহজে লেনদেন করতে পারে।
    মান্দাতার আমলের সিস্টেমে পড়ে আছেন।
    [10/30, 18:14] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম,
    মাননীয় অর্থ উপদেষ্ট এবং বিএসইসি চেয়ারম্যান মহোদয় এর নিকট আকুল আবেদন,
    আমরা যাতে সহজে টাকা তুলতে এবং জমা দিতে পারি এজন্য ব্যাংকের মত বুধ তৈরি করা উচিত। বিকাশ এবং নগদ এর সাহায্যে টাকা তুলা এবং জমা করা যায়। সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
    প্রয়োজনে শেয়ার ব্যাংক করেন।অথবা ব্যাংক এর সাথে একাউন্ট যোগ করে দেন।
    [11/4, 19:13] Md.alamgir hossain: আসসালামু আলাইকুম
    করুনার সময় মার্কেট ওটু বাড়ানো হয়েছিল
    এখন মাঝে মাঝে অটো বাড়ানো উচিত।
    বিএসইসি চেয়ারম্যান মহোদয় এর নিকট আবেদন বিষয়টা দেখবেন।
    [11/4, 19:16] Md.alamgir hossain: বিসমিল্লাহিররাহমানিররাহিম,
    ,বিএসইসির নিকট আকুল আবেদন
    যে সকল কোম্পানি শেয়ার মার্কেটে আসবে
    তাদেরকে কখনো জেটক্যাটাগরিতে নিবেন না।
    এ এবং বি ক্যাটাগরিতে রাখবেন তা না হলে বিনিয়োগকারীদের অবস্থা খারাপ হবে।
    জেড ক্যাটাগরিতে গেলে কোম্পানির লাভ।

    বিনিয়োগকারীদের লস।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.