আড়াই শত কোম্পানির পতনে ৩’শ কোটির নিচে লেনদেন
বিএসইসির ইতিবাচক সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সম্ভাবনাময় পুঁজিবাজার পতনের তাণ্ডব চলছে দীর্ঘদিন। দীর্ঘ দরপতন থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা দিন দিন ভারি হচ্ছে। এমনঅবস্থায় অনেক বিনিয়োগকারী বড় লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাতে বাজারে ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে। চলমান এ দরপতনে চরমভাবে আস্থা ও তারল্য সংকটে পড়েছে পুঁজিবাজার।
বাজারকে স্থিতিশীলতায় ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের ফলে মাঝে মাঝে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার বাংলারেদশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে বেশ কয়েকটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচাকলদের মোটা অংকের জরিমানার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ারবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে ইতিবাচকতার পরিবর্তে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। এই নেতিবাচক ধারণা থেকেই শেয়ারবাজারে আজকে প্রায় আড়াইশত কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। এতোগুলো কোম্পানির শেয়ার দর কমার ফলে শেয়ারবাজারে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৩’শতের নিচে নেমে গেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানামূখী উদ্যোগের পরও স্থিতিশীলতায় ফিরছে না সূচক। বিষয়টা দুর্ভাবনার বিষয়। শেয়ারবাজার হচ্ছে দেশের অর্থনীতির অন্যতম একটা অংশ। এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের এভাবে ধুকতে থাকা সমীচীন নয়। শুধু নিয়ন্ত্রক সংস্থা নয় শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীলতায় ফিরাতে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বাজারকে স্থিতিশীলতায় ফিরাতে কঠোর সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হলেও তা প্রয়োগ করতে হবে। শুধু কারসাজির অভিযোগে কোম্পানিগুলোর কর্তা ব্যক্তিদের কিছু অর্থ দণ্ড করলেই বাজারের প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায় শেষ হয়ে যায় না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বাজার নিয়ে আরো কঠোর সিদ্ধাস্ত নিতে হবে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪.৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৮১ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ৭.১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৬ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৩.২৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ২৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বা ১২ শতাংশ।
ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৮৭টির বা ২২.০২ শতাংশের, কমেছে ২৪৮টির বা ৬২.৭৮ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৬০টির বা ১৫.১৯ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ১০৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৬টির।এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৫৩৮ পয়েন্টে।
Present stupid marketing stoppage kara uchit.
শেয়ার
বাজার সব ঠিক হয়ে যাবে কোন চিন্তা কারণ নাই
বিএসসি চেয়ারম্যানের দুর্নীতি কেন???
কোহিনূরের ১০% স্টক ডিভিডেন্ট অনুমোদন দিল।
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টের ১০%স্টক ডিভিডেন্টের অনুমোদন দিল।
রেকর্ড ডেট এর দিনেই কিন্তু ইফাদ অটোস্, মুন্ন এগ্রো, জেমিনি সি সহ আরো বেশ কয়েকটা কোম্পানির অনুমোদন দিল না কেন রেকর্ড ডেট এর দিন???
এতে ক্ষতি কার??
অবশ্যই সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের।
কনফিডেন্ট সিমেন্টের হঠাৎ করে জেড করলেন ।
পরের দিন পরিচালকদের ডাকলেন।
তারপরের দিন জেড থেকে উঠে দিলেন।
আরে এটাতো মামার বাড়িও ফেল করে দিলেন।
চার মাস পার করে ফেললেন। তাই নীতি বদলান।
ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে কোং এর অনুমোদন দিবে শেয়ার হোল্ডার এজিএম এর মাধ্যমে। মাঝখানে বিএসইসির কাজ কি। বিএসইসি, ডিএসই,ও সিএসই কে সাবধান হতে অনুরোধ করব। আপনারা অনধিকার চর্চা করা থেকে বিরত থাকুন। ডিভিডেন্ড অনুমোদন দেয়া আপনাদের কাজ না।যার কাজ তাকে করতে দেন। তৃতীয় পক্ষ সেজে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার ধান্দা ছাড়েন নচেৎ আপনাদের বিরুদ্ধে গনআনদোলন শুরু হলে পালনোর পথ খোঁজে পাবেন না। সাধু সাবধান আপনাদের কর্ম কান্ডের ফিরিসতি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। সময় এখন আমাদের।