পতনের স্রোতে পুঁজিবাজার, একদিনেই হারাল সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : কোনোভাবেই থামছে না শেয়ারবাজারের অস্থিরতা। বুধবারও (১১ ডিসেম্বর) বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। আর বিনিয়োগকারীরা বড় পতনের কারণে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবারের পতন নিয়ে শেয়ারবাজার টানা ৫ কর্মদিবস পতন হয়েছে। এই পাঁচ কর্মদিবসে শেয়ারবাজার থেকে ১১৪ পয়েন্ট সূচক হারিয়ে গেছে। আর পাঁচ কর্মদিবসে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু বুধবার একদিনেই হারিয়েছে ৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।
বুধবার সূচকের পতনে শুরু হয় লেনদেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সূচক উত্থানে ফিরে আসে। সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে সূচক আবার পতনে নেমে যায়। এরপর পতনের মধ্যে থেকেই লেনদেন হতে থাকে শেয়ারবাজারে। লেনদেনের বাকি সময়ে সূচক আর উত্থানে ফিরে আসেনি। এই পতন ধারায় থেকেই শেষ হয়ে শেয়ারবাজারের লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের প্রতি কেন বিনিয়োগকারীদের এতো অনাস্থা তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খুঁজে বের করতে হবে। সবার আগে রোগ খুঁজতে হবে। রোগ না ধরা পড়লে সঠিক ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। রোগ খুঁজে বের করতে পারলে সঠিক ওষুধ দেওয়া সম্ভব হবে। আর সঠিক ওষুধ পেলে রোগ ভালো হবে। ঠিক তেমন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বাজার অব্যাহত পতনের কারণ খুঁজতে হবে। অব্যাহত পতনের কারণ খুঁজে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে বাজার সঠিক পথে চলতে থাকবে।
বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪২.৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২৪ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে‘ডিএসইএস’ ১২.৪৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪২ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১৪.১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৩০৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৭৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার বা ২০ শতাংশ।
ডিএসইতে লেনদেন আজ হওয়া ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫০টির বা ১৫.৫৩ শতাংশের, কমেছে ২৯১টির বা ৭২.৯৩ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৫৮টির বা ১৪.৫৩ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ১১৯টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৬টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৪ হাজার ৩৬৪ পয়েন্টে।
এই বাজারে জরিপড়া করে মার্কেট কারো খারাপ করতেছে বর্তমান চেয়ারম্যান অতএব হয় তার জরিমানা করা হোক চেয়ারম্যান কে নতুবা তারপরে ত্যাগ করা হোক
সকল কিছুই ঠিক হবে যদি বাই ব্যাক আইন করে সাথে সাথে ব্যবহার করা যায়
বিনিয়োগকারীকে নিঃস্ব করা শেয়ারবাজারের রোগ আর কিছু না। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা সরকার সবাই বুঝে কিন্তু রোগ সারাই না।