সিরিয়ায় ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে’ সমর্থন দেবে ৮ আরব দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একমত হয়েছে আট আরব দেশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জর্ডানের আকাবা শহরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেন দেশগুলোর শীর্ষ কূটনীতিকরা।
সৌদি আরব, জর্ডান, ইরাক, লেবানন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, নতুন সিরীয় সরকারে ‘সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির’ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, ‘জাতিগত, সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় বৈষম্য’ রোধের এবং ‘সব নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার ও সমতা’ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে জাতিসংঘ ও আরব লীগের সহযোগিতায় এগিয়ে নিতে হবে। এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২২৫৪-এর আলোকে পরিচালিত হবে, যেখানে একটি আলোচনাভিত্তিক সমাধানের রূপরেখা উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ প্রচেষ্টা বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন আরব দেশগুলোর কূটনীতিকরা।
এদিন আকাবায় আরেকটি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত গাইর পেডারসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাইজা কালাস এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান অংশ নেন। ওই বৈঠকেও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়, যা সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করবে এবং সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হতে দেবে না।
সম্প্রতি সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। বিদ্রোহীদের গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছে, দেশটিতে সব নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
সিরিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর সিটিজেনস ডিগনিটির পরিচালক লাবিব আল-নাহাস বলেন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া জরুরি। তার মতে, সিরিয়ায় সংকটের মূল কারণ ছিল এক দলের দীর্ঘ শাসন। এটি যেন আর না ঘটে।