আজ: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

তিন ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের সদস‌্য তিন ব্রোকারেজ হাউজের সার্বিক কার্যক্রমে অসঙ্গতি আছে কি না খতিয়ে দেখতে তিন সদস‌্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ‌্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো—পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ৭৯), প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ২৩৬) এবং শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নং- ৩)।

তদন্ত কমিটি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেতিবাচক ইক্যুইটি কেন বাড়ছে ও এর জন‌্য কারা দায়ী, নেতিবাচক ইক্যুইটির পরিমাণ, প্রভিশনস বা মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে।

সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ‌্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন  সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

বিএসইসির জারি করা আদেশ তিন ব্রোকারেজ হাউজের ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।

বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে করে যে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুল ১৭ এবং সিকিউরিটিজ অ‌্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১৫ ও ১৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন তিন কর্মকর্তাকে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কার্যক্রম তদন্ত করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

তদন্ত কমিটির সদস‌্যরা হলেন—বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মতিউর রহমান এবং সহকারী পরিচালক মো. সাগর ইসলাম। পরিদর্শক কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে- তিন ব্রোকারেজ হাউজের মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, প্রকৃত নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ, প্রভিশনস, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অনুমতিবিহীন লেনদেন ও এর কারণ এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ কেন বাড়ছে ও এর জন‌্য কারা দায়ী?

ব্রোকারেজ হাউজগুলো কেন আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশনস বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে? ব্রোকারেজ হাউজগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করছে?

২০১৬ সাল থেকে একাধিকবার সময় চেয়েও ব্রোকাররেজ হাউজগুলো কেন আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশনস বজায় রাখতে ব‌্যর্থ হচ্ছে?

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক সমস্যা থাকেলে, সেটাও চিহ্নিত করবে তদন্ত কমিটি।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলো কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। তদন্ত প্রতিবেদনে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

 

৬ উত্তর “তিন ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে বিএসইসি”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.