আজ: বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৫শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ জানুয়ারী ২০২৫, বুধবার |

kidarkar

সংবিধান আলোচনায় ‘গণভোট’

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গণভোট হয়েছে তিনবার। রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে ১৯৭৭ ও ৮৫ সালে। এছাড়া সাংবিধানিক গণভোট হয় ১৯৯১ এর সেপ্টেম্বরে। যেটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি থেকে আবারও প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার প্রবর্তিত হয়।

প্রথম গণভোটে রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান এবং তার কর্মসূচিগুলোর ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা হয়। দ্বিতীয়বার ১৯৮৫ সালে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসন বৈধতা পায় গণভোটে।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল হয় গণভোট। গেলো ১৭ ডিসেম্বর ওই সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং গণভোট পুনর্বহাল করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোট শক্তিশালী গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। প্রয়োজনীয়তা আছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে।

বদিউল আলম মজুমদার ((কার্যকর করতে হবে…জনগণের মতের প্রাধান্য)) বলেছেন, এটি হচ্ছে জনগণের মতামতের প্রতিফলন। মতামত জন্য কতোগুলো ক্ষেত্রে বিশেষকরে পরিবর্তনের জন্য গণভোটের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।

গণভোটের বিধান আছে সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন এবং গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে। তবে চাইলেই যেকোন বিষয়ে গণভোট করা যায় না বলে জানালেন ড. শাহদীন মালিক।

শাহদীন মালিক বলেন, অনুচ্ছেদ আট, আটচল্লিশ, ছাপান্ন এবং ১শ’ ৪২-এই পাঁচটি সংশোধন করতে গণভোট লাগবে। অন্যগুলোতে সংশোধন করতে হলে গণভোট লাগবে না। অতএব বোঝা যাচ্ছে গণভোটগুলো সীমিত। অনুচ্ছেদ পরিবর্তন না হলে গণভোট লাগবে না।

সংস্কার কমিশনও বিবেচনায় নিয়েছে গণভোটের বিষয়টি। জোর দেয়া হচ্ছে, সুষ্ঠু প্রয়োগের ওপর।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.