আজ: রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ জানুয়ারী ২০২৫, রবিবার |

kidarkar

প্রয়োজনে সম্পদ বেচে বিমা দাবি পরিশোধ করার সুপারিশ অংশীজনদের

শেয়ারবাজার ডেস্ক : বিমা খাতের উন্নয়ন এবং গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য বিমা দাবি পরিশোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন অংশীজনরা।

প্রয়োজনে বিমা কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকদের দাবির অর্থ পরিশোধের সুপারিশ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সঙ্গে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) নির্বাহীদের এক সভায় এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।

আইডিআরএ তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের সেপ্টম্বর পর্যন্ত বিমা খাতে মোট দাবির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে দাবি পরিশোধ হয়েছে ২ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা, যা মোট দাবির ২৮ শতাংশ।

এই সময়ে জীবন বিমার মোট দাবির পরিমাণ ৫ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিশোধ হয়েছে ২ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রায় ৬২ শতাংশ দাবি পরিশোধ হয়নি।

আবার নন-লাইফ বিমার মোট দাবির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিশোধ হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৯০ শতাংশ দাবি পরিশোধ হয়নি।

এই সময়ে বায়রা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ১.৫৪ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফ ১.৪৯ শতাংশ, গোল্ডেন লাইফ ২.১৮ শতাংশ, পদ্মা লাইফ ০.৮১ শতাংশ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ৪.৭০ শতাংশ ও সান ফ্লাওয়ার লাইফ ১.১৯ শতাংশ বিমা দাবি পরিশোধ করেছে।

এই সময়ে আলফা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স, লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন, মার্কেন্টাইল ইসলামি লাইফ, পপুলার লাইফ, রূপালী লাইফ, সোনালী লাইফ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স প্রায় শতভাগ বিমা দাবি পরিশোধ করেছে।

সভায় আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম আসলাম আলম বলেন, ‘বর্তমানে বিমা খাত এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।’

তিনি বিশেষভাবে জীবন বিমা খাতে দাবি পরিশোধের দুরবস্থা, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, পলিসি ল্যাপসের উচ্চ হার, এবং জীবন ও সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগের জটিলতা তুলে ধরেন।

আসলাম আলম বলেন, বিমা খাতের উন্নয়নের প্রথম ধাপ হলো প্রতিটি কোম্পানিকে তাদের নিজস্ব সমস্যা চিহ্নিত করা, সমস্যাগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা এবং সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বিমা কোম্পানি এবং বিমাসংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের অভ্যন্তরীণ সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বিমাসংশ্লিষ্ট আইনের সীমাবদ্ধতা ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা সময়ের দাবি। এক্ষেত্রে বিআইএ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিআইএর প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং নির্বাহী কমিটির সদস্যদের পর্যায়ক্রমে তাদের মতামত প্রকাশ করার অনুরোধ জানান।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.