তালেবান সরকারের কঠোর সমালোচনায় মালালা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের গৃহীত একাধিক নারী নীতিমালাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে মুসলিম নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয় এমন তথ্য।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে নারী শিক্ষা বিষয়ক এক সম্মেলনে মালালা বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানরা নারীদের মানুষ হিসেবে দেখে না। তিনি মুসলিম নেতাদের উদ্দেশে বলেন, তালেবানের নীতির মধ্যে ইসলামিক কিছুই নেই।
তিনি আরও বলেন, তালেবান সরকার আবার লিঙ্গ বর্ণবৈষম্যের ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তারা নারী ও মেয়েদের শাস্তি দেয়া শুরু করেছে। আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির পর শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নারী শিক্ষা নিয়ে কথা বলায় ২০১২ সালে ১৫ বছর বয়সে মালালাকে হত্যার লক্ষ্যে গুলি করে তালেবানের এক বন্দুকধারী। মালালা সেইসময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এরপর থেকে দেশের বাইরে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে প্রথমবার পাকিস্তানে ফেরেন।
রোববারের সম্মেলনে মালালা বলেন, নিজ দেশে ফিরতে পেরে আমি অনেক খুশি এবং আনন্দিত। নারীদের শিক্ষা বিমুখ করে রাখলে পাকিস্তানের জনগণের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সমস্যা মোকাবেলা করতে না পারলে গোটা সমাজই পিছিয়ে পড়বে।
এর আগে গত শনিবার সম্মেলনের প্রথম দিন সেখানে বক্তব্য দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত জেলায় জন্মগ্রহণ করেন মালালা। শিশুদের প্রতি অবিচারের বিরুদ্ধে ও নারী শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের জন্য ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পান তিনি।