আজ: বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ জানুয়ারী ২০২৫, বুধবার |

kidarkar

আব্দুল হামিদ-হাসিনাসহ ১২৪ জনের নামে মামলা

শেয়ারবাজার ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার দুই ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবং রাসেল আহাম্মদ তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

একই সঙ্গে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদেরও নাম রয়েছে। এ মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ১২৪ জনকে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন তহমুল ইসলাম মাজহারুল নামে এক যুবক।

এই যুবক জানান, তিনি বিএনপির কর্মী। আন্দোলনের সময় আহত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় মামলা করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। এসব মামলায় চার হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়। তবে দেশে এই প্রথম কোনো মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হলো।

মামলায় আবদুল হামিদকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আর ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে, ২ নম্বরে আছেন শেখ রেহানা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামিরা সারাদেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১-৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১-১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশীয় অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে হামলা চালান আসামিরা। তারা গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এছাড়া গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.