আজ: রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ইং, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ জানুয়ারী ২০২৫, রবিবার |

kidarkar

গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘অস্থায়ী’ : নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকেই সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

ফলে স্বস্তির আশায় প্রহর গুণছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে গাজায় এই যুদ্ধবিরতিকে ‘অস্থায়ী’ বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি আরও দাবি করেছেন, প্রয়োজনে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলকে।

রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, রোববার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে ‘অস্থায়ী’, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শনিবার এমনটাই বলেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির পরবর্তী ধাপগুলো বাস্তবায়িত না হলে পুনরায় হামলা শুরু করার অধিকার দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, “ইসরায়েল ফিলাডেলফি করিডোরে সৈন্য সংখ্যা কমাবে না তবে প্রথম পর্যায়ে তাদের সংখ্যা বাড়াবে।”

রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮.৩০ মিনিটে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে গাজায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলার অবসান ঘটাতে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেছে কাতার। মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বুধবার গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বার্তায় বলেছেন, “চুক্তির উভয়পক্ষ ও মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে গাজার স্থানীয় সময় ১৯ জানুয়ারি (রোববার) সকাল সাড়ে ৮ টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে উপত্যকায়।”

ইসরায়েলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসাবে রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এছাড়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতিতে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ৩৩ জন মুক্তি পাবেন।

গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি বাহিনী আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এর ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। এছাড়াও ত্রাণবাহী শত শত ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় স্থান পাবে বাকি বন্দিদের মুক্তি এবং “টেকসই শান্তির” জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে আসবে গাজার পুনর্গঠন। এর জন্য অনকে বছর লেগে যেতে পারে। তবে হামাসের হাতে আর কেউ বন্দি থাকলে তাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে এই ধাপে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.