আজ: শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ইং, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদন

শেয়ারবাজার লুটেরাদের রক্ষায় বিএসইসিতে হামলা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের আইনের আওতা থেকে রক্ষার চেষ্টার চালাচ্ছে একটি চক্র।তাদের রক্ষা করতে বাংলাদেশ সিটিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অরাজকতা, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানো হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। শেয়ার কেলেঙ্কারি ও পুঁজিবাজার লুণ্ঠনকারীদের রক্ষা করতেই এসব তৎপরতা চালানো হয়েছে বলে এতে উঠে এসেছে।

পাশাপাশি বিএসইসিতে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও দ্রুত প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফেরাতে সাত দফা সুপারিশ করেছে কমিশন।

এক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা। সেখানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নেতৃত্বে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, আইন এবং অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিএসইসিতে সশস্ত্র আনসার বাহিনী নিয়োগ দেওয়া।

সুপারিশে আরও বলা হয়, কেবল কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের ওপর নিরঙ্কুশ নির্ভরশীলতা পরিহার এবং কমিশনের কাজের গুণগত মান উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনা। বিএসইসির সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক সংস্কারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বিএসইসি কর্তৃক যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ।

প্রতিবেদনে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেছেন, বিভিন্ন গুরুতর অনিয়মের কারণে সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে অবসর দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক শেখ মাহবুব-উর-রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এবং এস কে মো. লুৎফুর কবির ও যুগ্ম পরিচালক মো. রশিদুল আলমের বিরুদ্ধে শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ শেয়ারবাজার লুটপাটে সহযোগিতার এবং অবৈধ সম্পদ গড়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এটি তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসছে।

ঘটনার দিন কমিশনের উচ্ছৃঙ্খল এবং উদ্ধত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাবেক নির্বাহী পরিচালকের অবসরের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল। একই সঙ্গে তারা কমিশন যাদের শেয়ার কারসাজি ও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে তা প্রত্যাহার এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির সুপারিশ গ্রহণ না করতে চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অফিস ভাঙচুর চালায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিগত সময়ে পুঁজিবাজারে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম অনুসন্ধানে কমিশন পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির কয়েকটি প্রতিবেদনে পুঁজিবাজারের কারসাজির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও কমিশনার এবং কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ততা উঠে আসে। তদন্তের স্বার্থে জড়িতদের কারণ দর্শানো ও ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে কমিশনের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। এরপর থেকে চক্রটি সুকৌশলে মরিয়া হয়ে ওঠে।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং চাকরি শৃঙ্খলার পরিপন্থি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম ইতোমধ্যে কমিশন গ্রহণ করেছে এবং ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় আরও কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক বলে কমিশন মনে করে।

৬ উত্তর “শেয়ারবাজার লুটেরাদের রক্ষায় বিএসইসিতে হামলা!”

  • M.A.ALI. says:

    বিএসইসির চেয়ারম্যান মাকসুদ এ যাবত মার্কেট ভালো করার জন্য কি করেছ একটা উদাহরণ দেখাক। তার কারণে বাজারে বেশি খতি হয়েছে। তাই তাকেও বিদায় দেওয়া উচিত।

  • Mohin says:

    Corruption must be eliminated to bring back shareholders faith for investment in share market

  • Anonymous says:

    মার্কেট ভালোকরতে হলে দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে মার্কেট কে রক্ষা করতে হবে। গত 6মাসে আগে বাজারের অবস্থাকি ছিল।

  • Mohiuddin says:

    আগে শেয়ার মার্কেট না পড়ার জন্য একটা সার্কিট ব্রেকার সিস্টেম চালু ছিল। সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবায়েত ওই সার্কিট ব্রেকার সিস্টেম উঠানের পর ব্যাপকভাবে শেয়ার বাজারে দর পতন অব্যাহত থাকায় অনেকে নিসম্বল হয়ে পড়েছে, ওই সময় এই সার্কিট ব্রেকার উঠানোর জন্য বর্তমান আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমদ জোরালো সুপারিশ করেছিলেন, উনি তখন বলেছিলেন সার্কেট বেকার নাকি উঠালে মার্কেট ঠিক হয়ে যাবে ।উনার কথা তো টিকলো না ।। সার্কিট বেকার উঠালে শেয়ার মার্কেটে দরপতন হবে তখন এক শ্রেণীর অসাধু লোক কম দামে শেয়ার ক্রয় করবে এটাই ছিল অসৎ উদ্দেশ্য ।। এই অসৎ উদ্দেশ্যের পিছে অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল ।

  • Anis Chowdhury says:

    What a reforms !share market declined everyday

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.