আজ: শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ইং, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার |

kidarkar

১০ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ থাকা ব্যাংকগুলো দিতে পারবে না লভ্যাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ব্যাংকখাতের মূলধন কাঠামোকে শক্তিশালী করতে শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ নীতিমালায় বেশকিছু কড়াকড়ি আরোপ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ শতাংশের তারা দিতে পারবে না লভ্যাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ এর ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিংখাতে খেলাপি ঋণের অনুপাত ২০ শতাংশেরও বেশি।

নতুন নীতিমালা ২০২৫ সালের লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশের নীতিমালা করে তা পরিপালনের জন্য সকল তফসীলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে।

নতুন নীতিমালায় কেবলমাত্র পঞ্জিকাবষের্র মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে; পূর্বের পূঞ্জীভূত মুনাফা হতে কোন নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করা যাবে না।

কোনো ব্যাংকের নগদ জমার হার (সিআরআর) ও সংবিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত (স্ট্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও—এসএলআর) ঘাটতির কারণে দণ্ড সুদ ও জরিমানা অনাদায়ী থাকলে এমন ব্যাংকগুলোও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।

এছাড়া ব্যাংকের ঋণ, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে কোন প্রকার প্রভিশন ঘাটতি থাকা যাবে না।

একইসঙ্গে কোন ব্যাংকের প্রভিশন সংরক্ষণ ও অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোন প্রকার ডেফারেল সুবিধা গ্রহণ করলে তারাও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।

লভ্যাংশের শর্তগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারলেও — একটি ব্যাংক শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ কোনক্রমেই পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশের অধিক হবে না। তবে যেসব ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে তারা সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে।

সেক্ষেত্রে, তাদের লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশের বেশি হবে না, এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার কোনভাবেই ১৩.৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।

কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫ শতাংশের বেশি, কিন্তু ১৫ শতাংশের কম মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সেসব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে,  লভ্যাংশ প্রদানের অনুপাত সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ হতে পারবে, এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার কোন ভাবেই ১২.৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.