নতুন নিয়মে ১৩ ব্যাংকের ডিভিডেন্ড ঘোষণা নিয়ে অনিশ্চয়তা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালার কারণে ২০২৫ সালে ১৩টি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ডিভিডেন্ড সংকটে পড়তে পারেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি হলে তারা কোনো ধরনের ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো কেবল বিবেচ্য বছরের মুনাফা থেকে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পারবে। পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনোভাবেই ডিভিডেন্ড বিতরণ করা যাবে না। সেই সঙ্গে, ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি হলে, সংস্থান ঘাটতি থাকলে বা তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নিলে ডিভিডেন্ড দেওয়ার অনুমতি থাকবে না। এমনকি, যেসব ব্যাংকের সিআরআর (নগদ সংরক্ষণ অনুপাত) ও এসএলআর (আইনগত সংরক্ষণ অনুপাত) ঘাটতির কারণে জরিমানা বা সুদ অনাদায়ী রয়েছে, সেগুলোও ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না।
শেয়ারবাজারের যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি, তাদের মধ্যে রয়েছে—ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশের বেশি পর্যন্ত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের, যার হার ৯০.৭২ শতাংশ। এরপর ইউনিয়ন ব্যাংকের ৮৭.৯৮ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬০.৫০ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের ৩৮.৫৯ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৩৪.৭৯ শতাংশ, রূপালি ব্যাংকের ৩১.৭৩ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৩০.৮৬ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৯.৩৩ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ২৫.৯৯ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ২১.০৮ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১২.১১ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ১০.৫৮ শতাংশ এবং ব্যাংক এশিয়ার ১০ শতাংশ।
২০২৫ সালে নতুন নীতিমালা কার্যকর হলেও ২০২৪ সালের ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্রে ২০২১ সালের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। তবে পূর্বের নির্দেশনায় ডেফারেল সুবিধাভোগী ব্যাংকগুলোর জন্য ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুযোগ থাকলেও এবার সেটি বাতিল করা হয়েছে। ফলে এসব ব্যাংক ২০২৪ সালের জন্য কোনো ধরনের ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে না।
নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, নতুন নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো তাদের ব্যালেন্স শিট শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হবে এবং শেয়ারহোল্ডারদের রিটার্নের চেয়ে আমানতের সুরক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেবে।
নিউজের হেডলাইন দেখে আমি বমি করে দিলাম।যেটা ২০২৫ সন শেষ হওয়ার পরের ব্যাপার সেটাকে নিউজের হেড লাইনে বুঝাচ্ছে ২০২৪ সালের ব্যাপার। এই পত্রিকা স্বৈরাচারের দোসরদের হয়ে কথা বলে।
Hi