শেষ দিনে স্বস্তি মিলল না, সূচকের পতনে হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দেশের শেয়ারবাজারে শুরুতে কিছুটা চাঙ্গাভাব দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের হতাশায় দিন শেষ হয়েছে। দিনের প্রথম ভাগে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বিক্রিচাপ বাড়তে থাকে, যা শেষ পর্যন্ত সূচকের পতনের কারণ হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫.৬৬ পয়েন্ট কমে ৫,২০১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্যদিকে, ডিএসই শরীয়াহ সূচক ০.১৯ পয়েন্ট কমে ১,১৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ১,৮৮৭ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে।
বাজারে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইতে আজ ৪৯৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি। লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৮টির দর বেড়েছে, ১৯৯টির কমেছে, আর ৬০টির অপরিবর্তিত ছিল।
চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বাজার চাপের মধ্যে ছিল। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭.৯৮ পয়েন্ট কমে ১৪,৫৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে সিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় বেশি।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টির দর বেড়েছে, ৭৯টির কমেছে এবং ২৯টির অপরিবর্তিত ছিল।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সপ্তাহের শেষ দিনে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা এবং অনিশ্চয়তার কারণে বাজার নিম্নমুখী হয়েছে। যদিও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে, তবে সূচকের পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেনি। আগামী সপ্তাহের শুরুতে বাজার কোন দিকে যায়, তা নিয়ে সবাই সতর্ক দৃষ্টিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
কোরামিন দিয়ে কোন রকমে মার্কেট বাচিয়ে রেখেছে। প্রতিদিন ২/৪/৭পয়েনট বাড়ছে অথবা কমছে। এটা কোন মার্কেটের আচরন হতে পারে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মার্কেট চালানো হচ্ছে। তাই এখন ই সময় অথর্ব বিএসইসি ও ডিএসইর চেয়ারম্যান মাকসুদ সহ তার পোষা সহযোগীদের বিদায় করে শেয়ার মার্কেটের সাভাবিক গতিতে নিয়ে আসা হউক।