আজ: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারকে বাদ রেখে বিনিয়োগ সম্মেলন, প্রশ্ন তুললেন ব্রোকাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে পুঁজিবাজারের কোনো উপস্থিতি না থাকায় বিস্ময় ও প্রশ্ন তুলেছেন দেশের ব্রোকারহাউজ প্রতিনিধিরা। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) বলছে, এত বড় আয়োজনে পুঁজিবাজারকে উপেক্ষা করা দুঃখজনক এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে এটি ভালো বার্তা দেয় না।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় ডিবিএ নেতারা বলেন, সম্মেলনে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছেন, বিভিন্ন খাতের বুথ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু পুঁজিবাজারকে নিয়ে কোনো আলোচনা বা আলাদা স্টল ছিল না। অথচ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে বিনিয়োগের আগে এক্সিট অপশন—অর্থাৎ বিনিয়োগ সহজে তুলে নেওয়ার পথ—বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে। আর পুঁজিবাজারই সেই সুযোগটি দিতে পারে।

সভায় ডিবিএ নেতারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনীতির নানা খাতে গতি আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, যা প্রশংসনীয়। তবে পুঁজিবাজার এখনো আগের মতোই সেই উদ্যোগের বাইরেই থেকে যাচ্ছে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারছে না।

একই অনুষ্ঠানে ব্রোকারহাউজগুলোর ওপর সিকিউরিটিজ লেনদেনে বিদ্যমান ০.০৫ শতাংশ উৎসে কর কমানোরও দাবি জানায় ডিবিএ। তারা বলেন, এ কর মোট লেনদেনের উপর প্রযোজ্য হলেও এর বাস্তব প্রভাব ব্রোকারদের মোট আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। অথচ ২০০৫ সালে এ হার ছিল ০.০১৫ শতাংশ।

ডিবিএ জানায়, প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের এই কর অনেক বেশি। যেমন পাকিস্তানে এটি মাত্র ০.০০০৬৫ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ০.০০৭৫ শতাংশ, হংকংয়ে ০.০০৫৬৫ শতাংশ। এমনকি মালয়েশিয়া, তুরস্ক ও আরব আমিরাতে সিকিউরিটিজ লেনদেনে কোনো উৎসে কর নেই।

নেতারা বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ ব্রোকারহাউজই লোকসানে রয়েছে, তবুও তাদের কর দিতে হচ্ছে। কর সমন্বয়ের সুযোগ না থাকায় এটি বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায় টিকে থাকা এবং বাজারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে এই কর যৌক্তিকভাবে কমানো প্রয়োজন।

সভায় ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী, ডিবিএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন সিএফএ, ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের এমডি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ব্র্যাক ইপিএস সিকিউরিটিজের সিইও আহসানুর রহমান, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের সিইও সুমন দাস ও সিটি ব্রোকারেজের এমডি আফফান ইউসুফ প্রমুখ।

ব্রোকার প্রতিনিধিরা আশা করেন, জাতীয় অর্থনীতির সামগ্রিক অগ্রগতির স্বার্থে পুঁজিবাজারকে আরও গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা করা হবে।

৭ উত্তর “পুঁজিবাজারকে বাদ রেখে বিনিয়োগ সম্মেলন, প্রশ্ন তুললেন ব্রোকাররা”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.